জাপানের যৌনকর্মী মিকা। স্বাভাবিক সময়ে তিনি দিনে তিন থেকে চারজন খদ্দের পেতেন। কিন্তু মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর তা বন্ধ। এখন খুব কষ্টে দিন যাপন করছেন। মানুষ ঘরে থাকার কারণে কোনো খদ্দেরও নেই, আর হাতে নেই জীবন ধারনের ন্যুনতম অর্থ। জীবন তার থমকে দাঁড়িয়েছে।
Advertisement
তার কোনো সঞ্চয় কিংবা অন্য কোনোভাবে আয়ের কোনো উৎসও নেই। মিকা বলেন, ধার করেই আপাতত জীবন চলছে তার। তিনি অন্য কোনো চাকরি খোঁজার চেষ্টা করছেন কিন্তু মহামারির এই মাঝপথে কেউ তাকে নিয়োগ দিচ্ছে না। তাই বাড়ি ভাড়া থেকে শুরু করে নিজের প্রাত্যহিক চাহিদা পূরণ করতে পারছেন না।
এরমধ্যে আবার এতদিনে যা ধারদেনা করেছেন তাই শোধ করতে হিমশিম খেতে হবে তাকে। তবে জাপান সরকার করোনা মোকাবিলায় যে বিশাল প্রণোদনা ঘোষণা করেছে, তা থেকে কিছু অর্থ বরাদ্দ হয়েছে যৌনকর্মীদের জন্য। কিন্তু যৌনকর্মীরা বলছেন, তাদের প্রয়োজনের তুলনায় সরকারি এই আর্থিক সহায়তা অনেক কম।
মিকা মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, ‘যদি আমার নিজের থাকার কোনো জায়গা থাকতো কিংবা আমি চাকরি করে কিছু উপার্জন করতে পারতাম তাহলে এই কষ্ট হয়তো কিছুটা লাঘব হতো। এমনিতেই আমার শারীরিক অবস্থা ভালো না তার ওপর কীভাবে বেঁচে থাকবো এই চিন্তা এখন বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
Advertisement
করোনা মহামারির কারণে জাপানে জরুরি অবস্থা চলায় দেশটির যৌনকর্মীরা মারাত্মক সংকটে পড়েছেন। জরুরি অবস্থা জারি থাকার কারণে দেশজুড়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, মানুষ ঘর থেকে বের তে পারছেন না। উল্লেখ্য জাপানে এখন পর্যন্ত প্রায় ১১ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, এরমধ্যে মারা গেছে ২৩৬ জন।
এসএ