করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কক্সবাজার জেলার স্থানীয় পরিবারগুলোর মধ্যে খাদ্য বিতরণ শুরু করেছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় সংস্থাটির ঢাকা কার্যালয়।
Advertisement
এতে বলা হয়, কোভিড-১৯ এর ঝুঁকি নিরসন করতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে খাদ্য বিতরণ প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনার পাশাপাশি, ডব্লিউএফপি প্রয়োজন মোতাবেক কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দেয়ার জন্য স্থানীয় সরকারের সাথে কাজ করছে। ঝুঁকির সম্মুখীন পরিবারগুলোর মাঝে খাদ্য বিতরণের পাশাপাশি, কক্সবাজারের সরকারি ও মানবিক সহায়তা সংস্থা-কর্তৃক পরিচালিত কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশন কেন্দ্রগুলোতে রোগীদের খাদ্য সরবরাহ করছে ডব্লিউএফপি।
'খাবারের মধ্যে রয়েছে আইসোলেশন কেন্দ্রগুলোতে ১,৫০০ রোগীর জন্য শুকনো খাবার ও সরকারি কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রগুলোতে ৩,০০০ মানুষের জন্য হট মিল (স্থানীয়ভাবে যা খিচুড়ি নামে পরিচিত)। এই বিতরণ কার্যক্রম কক্সবাজারসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশ সরকার-কর্তৃক চলমান খাদ্য সহায়তা কার্যক্রমের সম্পূরক হিসেবে চালানো হচ্ছে।'
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, “নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবের এই সংকটকালীন সময়ে কক্সবাজারের জনগণের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে ডব্লিউএফপি, যা একটি চমৎকার ব্যাপার।”
Advertisement
তিনি আরও বলেন, জেলা প্রশাসন এই সংকট সমাধানের জন্য সমন্বয়ের গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করেছে। বিশ্বব্যাপী এই লকডাউন চলতে থাকলে মানুষের দুর্ভোগ কয়েকগুণ বাড়বে। কাজেই, কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দেয়ার জন্য ডব্লিউএফপি'র কাছে জেলা প্রশাসন কৃতজ্ঞ থাকবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ডব্লিউএফপি'র প্রতিনিধি রিচার্ড রেগান বলেন, ‘ডব্লিউএফপি সবসময়ই বিশ্বাস করে যে, কোভিড-১৯ বিস্তারের মতো সংকট মোকাবিলায় যৌথ প্রচেষ্টা মূল ভূমিকা পালন করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কাজেই, এই ভাইরাসের ঝুঁকি ও প্রভাব হ্রাস করার জন্য স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মানুষদের সহায়তা করতে বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি আমরা এসব উদ্যোগ নিয়েছি।’
খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম এ সপ্তাহে শুরু হয়েছে, যা প্রতিমাসে চলতে থাকবে। আরও অর্থ-সহায়তা (ফান্ডিং) পাওয়া গেলে, নিঃশর্ত অর্থ সাহায্যসহ অন্যান্য সহায়তার মাধ্যমে অধিকতর মানুষের কাছে ডব্লিউএফপি পৌঁছাতে সক্ষম হবে।
Advertisement
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জরুরি অবস্থায় জীবন রক্ষা করে চলেছে এবং টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে লাখো মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসছে। সারা বিশ্বের ৮০টিরও বেশি দেশে ডব্লিউএফপি কাজ করে, যার মধ্যে রয়েছে সংঘাত ও দুর্যোগে মানুষের জন্য খাদ্য নিশ্চিত করা ও উন্নততর এক ভবিষ্যতের জন্য ভিত্তি প্রস্তুত করা।
জেপি/জেডএ/পিআর