খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপকের করোনা শনাক্ত হওয়ার পর রোববার আরও দুই চিকিৎসকের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
Advertisement
আক্রান্ত চিকিৎসকরা হলেন, খুমেকের গ্যাস্ট্রোন্ট্রোলোজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রনজিৎ কুমার ও শিশু বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ওমর খালেদ ফয়সাল। তারা দুইজনই ১০ এপ্রিল ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে খুলনায় এসে গেস্ট হাউজে অবস্থান করেন। কিন্তু দুই জনের কেউ করোনা টেষ্ট করাননি। ডা. রনজিৎ কুমার নারায়ণগঞ্জে নিজের চেম্বারে প্র্যাকটিস করেন বলে সূত্র জানিয়েছে। সেখান থেকেই তিনি খুলনায় আসেন।
খুলনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আহাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, খুমেকে ৪৪ জন চিকিৎসকসহ ২০১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে দুটি পজিটিভ পাওয়া গেছে। দুইজনই খুমেকের চিকিৎসক।
এর আগে গত শনিবার পরীক্ষায় পজিটিভ হন ইউরোলজি বিভাগের চিকিৎসক মাসুদ। তবে ডা. মাসুদ গত দেড় মাসেরও বেশি সময় খুলনায় অবস্থান করছেন। তিনিও ওই গেস্ট হাউজে থাকতেন।
Advertisement
অন্যদিকে, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জন্য অতিব জরুরি এন৯৫ মাস্ক স্বল্পতা থাকায় অনেক চিকিৎসক এখন সেবা দিতে পিছপা হতে চাইছেন। তারা বলছেন, নাক ও মুখ ঢাকা থাকলে করোনা সহজে কারো শরীরে প্রবেশ করতে পারবে না। কিন্তু এজন্য প্রয়োজন এন৯৫ মাস্ক। কিন্তু এ মুহূর্তে হাসপাতালে ৭০ থেকে ৮০ টা মাস্ক রয়েছে।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুন্সী রেজা সেকেন্দার বলেন, করোনা টেস্ট যারা করাচ্ছেন এবং যারা নমুনা সংগ্রহ করছেন তারাই শুধু এন৯৫ মাস্ক পাচ্ছেন। তিনিও মাস্ক স্বল্পতার কথা স্বীকার করেন।
এদিকে তিনজন চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন খুমেক ও হাসপাতালের তিন শতাধিক চিকিৎসক নার্স ও কর্মচারী। অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, অফিস রুম ও শিক্ষক লাউঞ্জসহ বেশ কয়েকটি জায়গা ইতোমধ্যে লকডাউন দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, রোববার পর্যন্ত সর্বমোট ৮২৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে যার মধ্যে ৭ জনের করোনা শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে খুলনা মেডিকেল এর তিনজন চিকিৎসক রয়েছেন।
Advertisement
আলমগীর হান্নান/এমএএস/এমকেএইচ