সদস্য রাষ্ট্রগুলোর তথ্য হালনাগাদ ও সম্পদের সর্বচ্চো ব্যবহারে দুটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করেছে অর্থনৈতিক জোট ডি-৮। এর মাধ্যমে সদস্যদের সাপ্তাহিকভাবে তথ্য হলনাগাদ এবং কোভিড- ১৯ সংক্রমণের বিষয়ে সুপারিশ নিয়ে একটি গ্রুপ কাজ করবে। আর সম্পদের সর্বচ্চো ব্যবহার নিশ্চিতে সমন্বিত কৌশল ও সুপারিশ নিয়ে আরেকটি গ্রুপ কাজ করবে।
Advertisement
গত ১৬ এপ্রিল ডি-৮ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর স্বাস্থ্য এবং সামাজিক সুরক্ষা প্রোগ্রাম কার্যালয় ‘ডি-৮ এইচএসপি’ প্রথম বারের মতো ভার্চুয়াল গোলটেবিল বৈঠক করে। এতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ে আলোচনা করে। এতে স্বাস্থ্য বিষয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থার পাশাপাশি সদস্য দেশগুলোর স্বাস্থ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অংশ নেন। এই বৈঠকের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ। এ বিষয়ে ডি-৮ এর বর্তমান সভাপতি তুরস্ককে চিঠিও দেয় বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বৈঠকের ফল স্বরূপ দুটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করেছে ডি-৮। সাপ্তাহিক তথ্য হলনাগাদ এবং কোভিড- ১৯ সংক্রমণের বিষয়ে সুপারিশ নিয়ে কাজ করবে মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান এবং নাইজেরিয়া। আর সম্পদের সর্বচ্চো ব্যবহার নিশ্চিতে সমন্বিত কৌশল ও সুপারিশ নিয়ে কাজ করবে বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া পাকিস্তান ও তুরস্ক।
মন্ত্রণালয় জানায়, কোভিড-১৯ এর কারণে সাধারণের জনজীবন, অর্থনীতি এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বাধা সৃষ্টি করছে। ডি-৮ সদস্য রাষ্ট্রগুলো কোভিড-১৯ মোকাবিলার অসুবিধাগুলো চিহ্নিত করা এবং করোনাভাইসার পরবর্তিতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেছে। গোলটেবিলের প্রধান উদ্দেশ্য হলো এ কঠিন সময়ে একে অপরের থেকে অভিজ্ঞতা বিনিময় করা এবং সদস্য রাষ্ট্রেগুলোর সমস্যা দূর করতে একটি পদ্ধতি বের করা। সেই সঙ্গে সুনির্দিষ্ট দেশের চাহিদা বিবেচনায় একে অপরের সঙ্গে সম্পদের বণ্টন করা। বৈঠকে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। এছাড়া এর সমাধানে বেশকিছু পরামর্শও একে অপরের সঙ্গে বিনিময় করা হয়।
Advertisement
বৈঠকে ডি-৮ মহাসচিব কু জাফার কু সারি বলেন, ‘ডি-৮ এইচএসপি’ এর মাধ্যমে একে অপরকে সহযোগিতা করার এটাই সময়। আমাদের মধ্যে অংশীদারিত্ব বাড়াতে হবে। সেই সঙ্গে এ সংকট মোকাবিলায় অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং একে অপরের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে হবে। ভোগ্যপণ্য, তথ্য প্রযুক্তি সরঞ্জাম, ঔষধ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়াদিতে একে অপরের সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।
বৈঠকে কোভিড-১৯ এর কারণে অর্থনৈতিক দিক থেকে দেশগুলোর পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করা হয়। ইতোমধ্যে আইএমএফ পূর্বাভাস দিয়েছে যে কোভিড-১৯ এর কারণে বিশ্বে ২০০৮ সালের থেকেও বড় অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হবে। বৈঠকে বাংলাদেশের অনুরোধে বাণিজ্য বিষয়ে একটি আলাদা ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ কমিটি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর জাতীয় অর্থনীতি নিয়ে কাজ করবে। যা প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান এবং দারিদ্রসহ অন্যান্য বিষয়গুলো দেখবে। সেই সঙ্গে এর থেকে দ্রুত বের হতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে পরামর্শ দেবে।
জেপি/এমএফ/এমএস
Advertisement