জাতীয়

‘স্পিক ঢাকা’ এখন অনলাইনে

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ভাষা ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের মাধ্যম ‘স্পিক ঢাকা’ তাদের সকল ভাষা শিক্ষা কার্যক্রম অনলাইনে রূপান্তর করেছে। কোয়ারেন্টাইনের এই সময়ে একাকিত্ব দূর করতে এখন থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে যে কোনো ভাষা শিখতে পারবে অনলাইনে।

Advertisement

বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারি রূপ নেওয়ায় অধিকাংশ মানুষ ঘরবন্দি হয়ে বিষণ্নতা এবং একাকিত্বে ভুগছে। এ কারণে স্পিক তাদের মিশনের অংশ হিসেবে মানুষকে সংযুক্ত রাখতে তাদের সকল ভাষা শিক্ষা কার্যক্রম আগামী মে মাসের শেষ অবধি অনলাইনে রূপান্তর করেছে যা বিনামূল্যে গ্রহণ করা যাবে।

বিভিন্ন ভাষা শিক্ষা গ্রুপগুলো এখন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। যেসকল শিক্ষার্থী এই কার্যক্রমকে সহযোগিতা করতে চায় তারা ‘Pay what you want model’ এর মাধ্যমে সহযোগিতা করতে পারেন। অর্থাৎ ভাষা শিক্ষা কোর্সসমূহ বিনামূল্যে রয়েছে কিন্তু আপনি চাইলে যা ইচ্ছে তাই দিয়ে এই কার্যক্রমকে সহযোগিতা করতে পারেন। যাদের কোনো একটি ভাষা শিক্ষা দরকার কিন্তু আর্থিক সচ্ছলতা নেই তাদের জন্য খুবই চমৎকার একটি সুযোগ।

প্রতি সপ্তাহে দু-দিন ও প্রতিটি ৯০ মিনিটের ১২ ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি ক্লাসে ৪-৭ জন শিক্ষার্থী থাকবে যেখানে একজন স্পিক মেন্টর থাকবে যেই নিদিষ্ট সেই ভাষায় দক্ষ অথবা শতস্ফুর্তভাবে বলতে পারে। বেসিক এবং কনভারসেশনাল এই দুই পর্যায়ের ভাষা কোর্সে অংশগ্রহণ করতে পারবে আগ্রহীরা।

Advertisement

এই প্রসঙ্গে স্পিক-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা হুগো মেনিনো আগুয়ার বলেন, ‘এটি কোনো বিষয় নয় আমরা কে বা কোথায় আছি। যদিও এখন সামাজিক দূরত্ব চলছে কিন্তু আমরা একাকিত্ব নয়। এখন একের পর এক সীমান্ত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু আমাদের মুক্তচিন্তা যেকোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী’।

২০১৪ সালে পর্তুগালে স্পিক-এর যাত্রা শুরু যা এখন বিশ্বের ১১টি দেশের ২৪টি শহরে ভাষা ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান করছে। দুইটি কার্যকরী পদক্ষেপের মাধ্যমে স্পিক স্থানীয় মানুষজনের সাথে অভিবাসী ও শরণার্থীদের মধ্যে সমন্বয় ও সংযোগ স্থাপন করে। প্রথমটি হল ভাষা শিক্ষা কোর্স এবং দ্বিতীয়টি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন। যার মাধ্যমে একে অপরের সাথে সামাজিক দূরত্ব সংকোচণ হয়ে বিশ্বস্ত হওয়া যায়।

ইতোমধ্যে বিশ্বের ১৬০টি দেশের ৩০ হাজার মানুষ এই কার্যক্রমের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। গত বছর Chivas Venture প্রতিযোগিতায় স্পিক তৃতীয় স্থান অর্জন করে এবং European Google Impact Challenge এর অন্যতম বিজয়ী। যে কোনো মানুষ যে কোনো ভাষা ও সাংস্কৃতি একে অপরের সাথে আদান-প্রদান করতে আন্তর্জাতিক সামাজিক উদ্যোগ স্পিকের সাথে সংযুক্ত হতে পারে। এই বছরের শুরুতে স্পিক তাদের ঢাকায় কার্যক্রম শুরু করে।

এমআরএম/এমকেএইচ

Advertisement