কক্সবাজারের রম্যভূমি রামুর বিভিন্ন এলাকায় মৌসুমি সবজির ফলন হয় প্রচুর। চলতি সময়ে ক্ষেতে শোভা পাচ্ছে কাঁচা মরিচ, টমেটো, তিত করলাসহ নানা জাতের সবজি। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে সবজি চাষিরা তাদের উৎপাদিত ফসল বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে পারছেন না। তারা বঞ্চিত হচ্ছেন ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি থেকে।
Advertisement
চাষিদের ক্ষতির দিক বিবেচনা করে রামুর ক্ষেতে উৎপাদিত তিত করলা ন্যায্যমূল্যে কিনে উপজেলার প্রতিটি ঘরে উপহার হিসেবে বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছেন রামুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রণয় চাকমা।
করোনা পরিস্থিতিতে ত্রাণ হিসেবে রামুর প্রতিটি ইউনিয়নের জন্য ৩০০ কেজি করে তিত করলা বরাদ্দ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে ইউপি চেয়ারম্যানরা তাদের বরাদ্দ পেয়ে গেছেন। ১৯ এপ্রিল বিকেল থেকে ঘরে ঘরে তা পৌঁছে দেবে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ।
বিষয়টি জানাজানি হবার পর ইউএনওর এমন কর্মকাণ্ডের সুনাম করছেন সবাই। অনেকে বলছেন, এক ঢিলে দুই পাখি শিকার করলেন ইউএনও।
Advertisement
সাজু বড়ুয়া নামে একজন জানান, প্রণয় চাকমা অল্প সময়ে প্রমাণ করেছেন তিনি মানবিক কর্মকর্তা। করোনা পরিস্থিতি শুরুর পর থেকে তৃণমূলের বসত ঘরে গিয়েও তিনি ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন। রাতের আঁধারেও তাকে ছুটে চলতে শুনি।
সামাজকর্মী মালেক সিকদার বলেন, তিত করলা ঔষধি গুণসম্পন্ন সবজি। রামুতে এর ফলন ভালো হয়েছে। একদিকে চাষিরা উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে পেরে স্বস্তি পেলেন, অন্যদিকে আপদকালীন সময়ে পরিবারগুলো মৌসুমি সবজিটি পেয়ে উপকৃত হবে। মানবিক ইউএনও বিধায় দুদিকেই উপকার করলেন প্রণয় চাকমা।
রামুর গর্জনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিত করলা বরাদ্দের কথা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে বলেন, এটি বুদ্ধিদীপ্ত ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রণয় চাকমা জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে সবজি চাষিরা তাদের উৎপাদিত ফসল বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে পারছেন না। চাষিদের দিক বিবেচনায় ন্যায্যমূল্যে ক্রয় করে প্রতি ঘরে তিত করলা বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে জনগণ স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পেল, আর চাষিরাও পেল তাদের ফসলের ন্যায্যমূল্য।
Advertisement
সায়ীদ আলমগীর/এমএআর/এমএস