দেশজুড়ে

বরিশালের করোনা ইউনিটে যুবকের মৃত্যু

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) করোনা ইউনিটে এক যুবকের (৩২) মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গত তিনদিনে সেখানে চার রোগীর মৃত্যু হলো।

Advertisement

রোববার (১৯ এপ্রিল) সকাল পৌনে ৮টার দিকে করোনা ইউনিটে মারা যাওয়া ওই যুবকের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার শৌলা গ্রামে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এস এম বাকির হোসেন জানান, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত ছিলেন ওই যুবক। শনিবার রাতে তাকে অচেতন অবস্থায় শেবাচিম করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়। রোববার সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। ওই যুবক করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কি-না, তা জানার জন্য শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

শেবাচিম সূত্রে জানা গেছে, করোনা ইউনিটে গত তিনদিনে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে বরগুনার বেতাগীর ফুলতলা এলাকার ৭২ বছর বয়সী এক রোগীর মৃত্যু হয়। জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। মারা যাওয়ার পর শুক্রবার রাতে পাওয়া তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। একই দিন (১৭ এপ্রিল) ভোর ৪টার দিকে করোনা ইউনিটে ৪২ বছর বয়সী এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। ওই নারী পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের পাঁচবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকরা তাকে করোনা ইউনিটে স্থানান্তর করেন। নমুনা সংগ্রহের পর শুক্রবার রাতে তার পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।

Advertisement

এছাড়া শনিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১০টা ১০ মিনিটে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৮০ বছর বয়সী এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি পিরোজপুরের কাউখালীর বিয়ারঝুড়ি এলাকায়। জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়ে গত ১৫ এপ্রিল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। ১৬ এপ্রিল তার নমুনা সংগ্রহ করে মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল। ১৭ এপ্রিল রাতে তার রিপোর্ট পাওয়া যায়। নমুনা পরীক্ষায় তার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। সর্বশেষ রোববার (১৯ এপ্রিল) সকাল পৌনে ৮টার দিকে ৩২ বছর বয়সী পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার শৌলা গ্রামের এক রোগীর মৃত্যু হয়। তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

সাইফ আমীন/এমএআর/এমএস