নিজেদের সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপের মেয়াদ আরও বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় আরও ৩০ দিনের জন্য দু'দেশের সীমান্তে কড়াকড়ি অবস্থা জারি থাকবে।
Advertisement
শনিবার এক বিবৃতিতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, করোনার বিস্তার ঠেকাতে সীমান্তে আরও ৩০ দিন কড়াকড়ি অবস্থা থাকবে।
সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকায় গত মাসে দু'দেশের মধ্যকার অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণে কড়াকড়ি আরোপের বিষয়ে একমত হয় ওয়াশিংটন এবং ওত্তাওয়া।
তবে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এখনও কোনো কড়াকড়ি আরোপ করা হয়নি। আগামী সপ্তাহেই সীমান্তে কড়াকড়ি অবস্থার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা এখনই শেষ হচ্ছে না বরং আরও এক মাস এই কড়াকড়ি অবস্থা থাকবে।
Advertisement
তবে সীমান্ত দিয়ে মেডিক্যাল সরঞ্জাম যেমন মাস্ক, ওষুধের সরবরাহ চালু থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথমবারের মতো করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর থেকে তা অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে।
এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। এই ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় বিভিন্ন দেশ তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে।
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ভয়াবহ অবস্থা যুক্তরাষ্ট্রে। আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যায় সব দেশকে পেছনে ফেলে শীর্ষে আছে দেশটি। এমনকি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ধারে কাছেও নেই কোনো দেশ। অপরদিকে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশটিতে আক্রান্ত ও মৃতের পাল্লাও ভারি হচ্ছে।
Advertisement
ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ৩৮ হাজার ৯১৩। অপরদিকে মারা গেছে ৩৯ হাজার ১৫ জন।
এখন পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৬৮ হাজার ২৮৫। তবে ১৩ হাজার ৫৫১ জনের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। তারা চিকিৎসা নিচ্ছেন।
অপরদিকে, কানাডায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩ হাজার ৩৮৩ এবং মারা গেছে ১ হাজার ৪৭০ জন। এছাড়া করোনা থেকে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ১১ হাজার ২০৭ জন। তবে ৫৫৭ জনের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক।
টিটিএন/জেআইএম