আগামী জুন মাস পর্যন্ত পানির বিলের বিলম্ব ফি মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। শনিবার (১৮ এপ্রিল) ওয়াসার শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার পরিদর্শন শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম ফজলুল্লাহ।
Advertisement
তিনি সাংবাদিকদের জানান, করোনাভাইরাসের প্রভাবে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণে চলমান বিধিনিষেধের কারণে গ্রাহকদের বিল পরিশোধে নানা অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে বলে বিলম্ব ফি না নেয়ার বিষয়ে জরুরি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়েরও সম্মতি নেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে করোনাভাইরাসের প্রভাবে বারবার হাতধোয়া, একাধিকবার গোসল এবং কাপড়ধোয়া বেড়ে যাওয়ায় দৈনিক সাত কোটি লিটার অতিরিক্ত পানি ব্যবহার হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক। আবাসিক গ্রাহকদের অতিরিক্ত এই পানির চাহিদা মেটাতে ডিপ টিউবওয়েলের মাধ্যমে আরও প্রায় দেড় কোটি লিটার পানির উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
একেএম ফজলুল্লাহ জানান, চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃপক্ষ পানি উৎপাদন ও সরবরাহে নিয়োজিত তিন শতাধিক প্রকৌশলী ও কর্মীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্লান্টেই তাদের সার্বক্ষণিক অবস্থান নিশ্চিত করেছে। যাতে বাইরে আসা-যাওয়া করে কেউ করোনা সংক্রমিত না হয়। এ লক্ষ্যে তাদের প্লান্টে থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
Advertisement
চট্টগ্রাম ওয়াসার বোর্ড সদস্য ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী জাগো নিউজকে বলেন, ‘চট্টগ্রামে বর্তমানে পানির চাহিদা রয়েছে দৈনিক ৪২ কোটি লিটার। এরমধ্যে চট্টগ্রাম ওয়াসা দৈনিক ৩৬ কোটি লিটার পানি উৎপাদন ও সরবরাহ করছে। করোনাভাইরাসের প্রভাবে সাত কোটি লিটার বাড়তি চাহিদার বিপরীতে ডিপ টিউবওয়েলের মাধ্যমে প্রায় দেড় কোটি লিটার উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে।’
বারবার হাতধোয়া ও কাপড়ধোয়ার ক্ষেত্রে পানির অপচয় রোধে গ্রাহকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে ২০ সেকেন্ড করে হাতধোয়ার পরামর্শ দিয়েছে দেশের স্বাস্থ্য বিভাগ। কিন্তু একজন ব্যক্তি যদি হাতধোয়ার ওই ২০ সেকেন্ড পানির ট্যাব খোলা রেখে হাত ধৌত করেন, দিনে যদি এভাবে ২০ বার পানির অপচয় হয়, তাহলে ব্যক্তি প্রতি দৈনিক অপচয় করা পানির পরিমাণ দাঁড়ায় পাঁচ লিটার। তাই আমাদের গ্রাহকদের বলব প্রথমে হাতে সাবান দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে মাখান, পরে একবারে ধুয়ে ফেলুন। কাপড় ধোয়ার সময়ও ট্যাব খোলা না রেখে একবারে কাপড় ধৌত করেন। এভাবে হলে আগামী গ্রীষ্মে ও রমজান মাসে পানির সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন থাকবে।’
আজ শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন- বোর্ড সদস্য মহসীন কাজী, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী মো. মাকসুদ আলম প্রমুখ।
আবু আজাদ/বিএ/জেআইএম
Advertisement