মতামত

মহামারি করোনা প্রতিরোধে কিছু প্রস্তাবনা

ডা. মো. হাসান ইমাম

Advertisement

করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও চিকিৎসার জন্য ইতোমধ্যে সরকার বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। যার ফলে এখনো বাংলাদেশকে সংক্রমণের চতুর্থ ধাপের মারাত্মক ঝুঁকি থেকে বের করে আনার একটা শেষ সুযোগ আছে। কিন্তু বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দফতরের সমন্বয়হীনতা ও ভুল তথ্যপ্রদানের জন্য সব উদ্যোগ ব্যর্থ হতে চলেছে এবং দেশ আজ মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়ে গেছে। আমরা যদি সংক্রমণের চতুর্থ ধাপের মারাত্মক ঝুঁকি থেকে বাঁচতে চাই তাহলে নিচের ১ থেকে ৮ নম্বর পর্যন্ত প্রস্তাবনাগুলো আগামী তিন থেকে পাঁচদিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে পারলে এবং অন্য প্রস্তাবনাগুলো জরুরি ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করতে পারলে বাংলাদেশকে কিছু দিনের মধ্যে করোনাভাইরাসের মহামারি থেকে মুক্ত করতে পারা যাবে ইনশাআল্লাহ।

১. মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতীয় দুর্যোগ সংক্রান্ত কাউন্সিল জরুরি ভিত্তিতে গঠন। (যৌক্তিকতা: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে অন্য মন্ত্রণালয়গুলো সমন্বয় করছে না।)

২. ঢাকার যে সকল এলাকা এবং দেশের যে সকল বিভাগ, জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে তাদের সংস্পর্শে আসা সকল ব্যক্তি এবং সংক্রমিত সকল এলাকার ওয়ার্ড/গ্রাম/মহল্লাভিত্তিক সন্দেহজনক সকল পরিবারকে আগামী তিন থেকে পাঁচদিনের মধ্যে সর্বোচ্চ জনবল নিয়োগ করে করোনা টেস্ট করতে হবে এবং যাদের টেস্ট পজিটিভ হবে তাদের দ্রুত প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে এবং সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে নিতে হবে। (যৌক্তিকতা: জনগণ নিজ বাড়িতে আইসোলেশন/কোয়ারেন্টাইন মেনে চলতে পারে না, বরং প্রতিবেশী ও পরিবারের অন্যদের আক্রান্ত করে ফেলবে।)

Advertisement

৩. বাংলাদেশের প্রতিটি বিভাগ, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামে যাদের ন্যূনতম করোনার উপসর্গ আছে এবং করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে, সর্বোচ্চ জনবল নিয়োগ করে তাদের সকলের আগামী তিন থেকে পাঁচদিনের মধ্যে করোনা টেস্ট করতে হবে এবং রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত তাদের সবাইকে আইসোলেশন/কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে। দক্ষিণ কোরিয়ার মতো পিপিই ছাড়া করোনা টেস্ট বুথ বানিয়ে স্যাম্পল সংগ্রহ করা যায় অথবা মেডিকেল কলেজ, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন হাসপাতাল ও কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরতদের মাধ্যমে স্যাম্পল সংগ্রহ করতে হবে, এতে সমগ্র দেশের যেকোনো স্থানে দ্রুত সময়ে স্যাম্পল সংগ্রহ করা যাবে।

৪. করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এলাকা এবং জেলাগুলোতে সরকারের পক্ষ থেকে লকডাউন করা হলেও জনগণের অসচেতনতার জন্য অনেকেই লকডাউন সঠিকভাবে মানছে না, লকডাউন শতভাগ কার্যকরী করতে হলে এখনই কারফিউ অথবা জরুরি আইন প্রয়োগের মাধ্যমে ঘরে থাকা বাধ্যতামূলক করতে হবে। বিশেষজ্ঞদের নিয়ে দুটি টিম গঠন করে একটি টিমকে শুধু প্রতিরোধকমূলক কাজে এবং অন্য টিমকে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার কাজে লাগাতে হবে।

৫. যাদের সক্ষমতা আছে শুধু তাদের অর্থের বিনিময়ে এবং সকল গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ঘরে ঘরে বিনামূল্যে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিজিবি,পুলিশ, র‍্যাব, আনসার, জেলা প্রশাসক, ইউএনও এবং জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে খাবার পৌঁছে দিতে হবে। (যৌক্তিকতা: তাহলে খাবারের জন্য অথবা অন্য কোনো অজুহাতে ঘর থেকে কেউ বের হবে না এবং না খেয়ে কেউ কষ্ট পাবে না। চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান এই পদ্ধতি অবলম্বন করে সফল হয়েছে।)

৬. বাংলাদেশে প্রচুর এক্সপ্রেস ট্রেন, স্টিমার, উন্নতমানের হোটেল, ইজতেমা মাঠ, স্টেডিয়াম, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের বেড বর্তমানে অব্যবহৃত আছে। ট্রেনের বগি, স্টিমারের কেবিন, হোটেলের কেবিন, ইজতেমা মাঠ, ঢাকাসহ যে সকল জেলায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে সে সকল জেলার স্টেডিয়াম, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের (নির্দিষ্ট সংখ্যক বেড) অস্থায়ী করোনা হাসপাতাল অথবা আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করার ব্যবস্থা গ্রহণ। (যৌক্তিকতা: এ ধরনের সেন্টারে করোনা আক্রান্ত ও সন্দেহভাজন রোগী রাখলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে)

Advertisement

৭. দেশের সকল বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ফায়ার সার্ভিস, ওয়াসা, সিটি করপোরেশন, পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রতিদিন রাস্তায় জীবাণুনাশক স্প্রে করতে হবে। বিশেষ করে যেসকল বিভাগ ও জেলা সংক্রমিত। সকল যানবাহন বাসায়/অফিসে প্রবেশের পূর্বেই গেটের বাইরে চাকাসহ বডি জীবাণুনাশক দিয়ে স্প্রে করতে হবে এবং ঘরের বাইরে যারা যাবেন সবাই বাসার মেইন গেটের বাইরে জুতা স্প্রে করে ঘরের বাইরে রাখতে হবে। (যৌক্তিকতা যানবাহনের চাকা ও জুতার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ফ্ল্যাট/বাসায় সংক্রমিত করে)

৮. গত ১ মার্চ থেকে যতজন ব্যক্তি বিদেশ থেকে বাংলাদেশে বিমানবন্দর, স্থলবন্দর, নৌবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও রেলপথ দিয়ে প্রবেশ করেছে তাদের সকলের এবং তাদের পরিবারের করোনা টেস্ট করাতে হবে। (যাদের টেস্ট করা হয়েছে তারা ব্যতীত)। যাদের করোনা টেস্ট পজিটিভ হবে তাদের সকলকে দ্রুত প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে নিতে হবে এবং করোনা রোগীর সংস্পর্শে যারা ছিল তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে নিতে হবে।

৯. মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক নির্দেশিত ৩১ দফা কঠোরভাবে পালনের ব্যবস্থা করন।

১০. এ গ্রেডের অথবা সক্ষম সকল বেসরকারি হাসপাতালকে দ্রুত করোনা টেস্ট করার ও চিকিৎসা প্রদানের অনুমতি প্রদান এবং টেস্ট ফি সরকার কর্তৃক নির্ধারণ অথবা ফ্রি করা। (যৌক্তিকতা: তাহলে করোনা রোগী দ্রুত শনাক্ত হবে এবং করোনার ভয়ে অন্য রোগীদের যে সেবা বন্ধ ছিল সেটা দ্রুত চালু হবে)।

১১. প্রতিটি এ গ্রেডের/সক্ষমতা সম্পন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ন্যূনতম ২০টি আইসিইউ বেড করোনা রোগীর জন্য প্রস্তুত করা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

১২. বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টার, আকিজ গ্রুপের স্থাপনা, বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারকে পাঁচ হাজার শয্যার অস্থায়ী হাসপাতালে রূপান্তর করতে হবে, এই অস্থায়ী হাসপাতালে ন্যূনতম এক হাজার আইসিইউ বেড প্রস্তুত করতে হবে। (যৌক্তিকতা: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ২০-৩০% রোগীর আইসিইউ সাপোর্ট লাগে, আইসিইউ সাপোর্ট দেয়া গেলে বেশির ভাগ রোগীকে বাচানো যাবে)

১৩. সরকারের পক্ষ থেকে আগামী এক মাসের মধ্যে ন্যূনতম দুই হাজার বেডের আইসিইউ প্রস্তুত করতে হবে।

১৪. সমগ্র বাংলাদেশ লকডাউন করা, বিশেষ করে যে সকল জেলায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে সে সকল জেলা। যে সকল জেলা এখনো সংক্রমিত হয়নি সে সকল জেলায় বাইরে থেকে কাউকে ঢুকতে না দেয়া এবং অন্য জেলায় যেতে না দেয়া। (যৌক্তিকতা: সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম লকডাউন করে সফল হয়েছে)

১৫. সকল উপজেলা, জেলা ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগীর পৃথক বিভাগ খুলে চিকিৎসা প্রদান এবং করোনা রোগীদের হাসপাতালে যাতায়াতের জন্য পৃথক রাস্তা তৈরি ও প্রতিটি হাসপাতালে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের ব্যবস্থা রাখা। (যৌক্তিকতা: করোনা আক্রান্ত রোগীদের সঠিক সময় অক্সিজেন দিতে পারলে জীবন বাঁচানো সম্ভব)

১৬. প্রতিটি নাগরিককে বাসায় অবস্থান করার বিষয়ে বাধ্য করা, শুধু ওষুধ, চিকিৎসা ও খাদ্য সংগ্রহ ছাড়া বাইরে বের হতে না দেয়া।

১৭. চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, নেপাল যেভাবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করেছে আমরা তাদের অনুসরণ করতে পারি।

১৮. চীনের হেইলংজিয়াং ইউনিভার্সিটি অব চাইনিজ মেডিসিনের তিনজন চিকিৎসক একটি হাসপাতালে ৭০১টি করোনা রোগীর ওপর ভেষজ ওষুধ প্রয়োগ করায় ১৩০ জন দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যায়, ২৬৮ জনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়, ২১২ জনের ক্ষেত্রে শারীরিক অবনতি হয়নি, ৯০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে ভেষজ ভালো কাজ করেছে, এছাড়া করোনার চিকিৎসা ও প্রতিরোধক হিসাবে আদা, দারচিনি, যষ্টিমধু, ত্রিফলাসহ ১২টি ভেষজ ব্যবহার করা হয়েছে।(Dr.Jun-Ling Ren, Dr.Ai-Hua Zhang, Dr.Xi-Jun Wang এর রিসার্চ পেপারটি Elsevier নামক মেডিকেল জার্নালে গত ১/৩/২০২০ তারিখে প্রকাশিত হয়েছে, Corrigendum to "Traditional Chinese medicine for COVID-19 treatment" [Pharmacol.Res.155(2020)104743] Publication date: 1/3/2020, Journal: Elsevier.)

আমরা চীনের মতো করোনার প্রতিরোধক হিসেবে নাগরিকদের ক্ষেত্রে এবং রোগীদের এই ভেষজগুলো ব্যবহার করতে পারি। (দেশের ৬৪টি জেলা ২০০টি উপজেলা হাসপাতালে ভেষজ চিকিৎসক এবং সাপোর্টিং স্টাফ কর্মরত আছে, তাদের মাধ্যমে সমগ্র দেশে এই সেবা দেয়া যাবে।)

১৯. সরকারি ও বেসরকারি সকল চিকিৎসকের সমন্বয়ে টেলিমেডিসিন ও অনলাইন চিকিৎসাসেবা চালু করলে হাসপাতালের ওপর চাপ কমবে এবং রোগীরা আতঙ্ক থেকে মুক্তি পাবে।

২০. পিপিইসহ সুরক্ষাসামগ্রী ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পর্যাপ্ত পরিমাণে সংগ্রহে রাখতে হবে, না হলে আমেরিকা ও ইতালির মতো চিকিৎসা সরঞ্জামের সংকটে পড়তে হবে।

২১. অত্যাবশকীয় সেবাদানকারী অফিস ছাড়া সকল সরকারি ও বেসরকারি অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, কারখানা করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ না আসা পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে।

২২. ওষুধ, খাদ্য, কাঁচাবাজার, ফল ও মাছ মাংস কেনার জন্য বাইরে গেলে এবং বাসায় ফিরে কী কী সাবধানতা অবলম্বন করবে এবং এ সকল পণ্য বাসায় এনে কীভাবে জীবাণুমুক্ত করবে সেটার জন্য একটা গাইডলাইন প্রণয়ন করে সকল জনগণের জন্য প্রচার করতে হবে। (টাকা, পোশাক, প্যাকেট, ব্যাগ ও এ সকল পণ্য থেকে ভাইরাস সংক্রমণ হয়।)

২৩. বাংলাদেশে ১ জন চিকিৎসক ১ জন ইঞ্জিনিয়ার এবং ভারতের ১ জন চিকিৎসক মিনি ভেন্টিলেটর তৈরি করেছে, তাদের কাছ থেকে স্বল্পমূল্যে মিনি ভেন্টিলেটর সংগ্রহ করা যায় এবং বাংলাদেশের মেডিকেল যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এগুলো দ্রুত প্রস্তুত করে নেয়া যায়।

২৪. চীন যেহেতু করোনাভাইরাস ভালোভাবে প্রতিরোধ করেছে সেহেতু চীন থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে উন্নত চিকিৎসা প্রদান ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

২৫. করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ২০-৩০% রোগী প্রচণ্ড শ্বাসকষ্টে ভোগে, এসকল শ্বাসকষ্টের রোগীদের রেসপিরেটরি ফিজিওথেরাপি খুবই কার্যকর, শ্বাসকষ্ট থেকে রোগীদের মুক্তি দেয়া এবং ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য যে সকল হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে সে সকল হাসপাতালে চিকিৎসকের পাশাপাশি ফিজিওথেরাপিস্টের মাধ্যমে সেবা দেয়া প্রয়োজন।

২৬. শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে এবং আক্রান্তের সম্ভবনাও কম। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো এবং করোনারভাইরাসের প্রতিরোধক হিসেবে প্রতিটি মানুষকে আদা, দারুচিনি, লবঙ্গ, যষ্টিমধু, কালজিরা, হলুদ, ত্রিফলা ও তুলসীপাতা জ্বাল দিয়ে চায়ের মতো সেবন, প্রতি বেলায় কুসুম গরম পানি সেবন ও গার্গেল করা এবং ভিটামিন সি অথবা ভিটামিন সি যুক্ত ফল দিনে দুইবার খাবার উপদেশ প্রদান। (এ সকল উপাদান জেলা প্রশাসক, ইউএনও, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিনিধির মাধ্যমে সকল ঘরে পৌঁছে দেয়া সম্ভব)

লেখক : মেডিসিন বিশেষজ্ঞ (এএমসি), এসপি হাসপাতাল, আদাবর, ঢাকা।Email: dr.hassantipu@yahoo.com

এইচআর/বিএ/জেআইএম