নতুন করে করোনাভাইরাস সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় জাপানের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন দেশটির চিকিৎসকরা। দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট চাপের মুখে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে পারছে না হাসপাতালের জরুরি বিভাগ।
Advertisement
করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে এক রোগীকে অন্তত ৮০টি হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে। কিন্তু কোনও হাসপাতালই এই রোগীকে নেয়নি। প্রথম দিকে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস পরিস্থিতি জাপান নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে বলে ধারণা করা হলেও দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশটির চিকিৎসকরা এখন হিমশিম খাচ্ছেন।
শনিবার এই দেশটিতে করোনা রোগীর সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। করোনায় জাপানে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২০০ জনের বেশি। তবে দেশটিতে করোনায় সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজধানী টোকিওতে।
স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ কমাতে জিপি সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরাও করোনাভাইরাস রোগী পরীক্ষার কাজে সহায়তা করছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা। জেনারেল প্রাকটিশনার চিকিৎসকদের সংগঠনের উপপ্রধান কোনোশিন তমুরা বলেন, চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়া ঠেকাতে এটা করা হচ্ছে।
Advertisement
তিনি বলেন, প্রত্যেকের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়া উচিত। অন্যথায় হাসপাতাল ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। এদিকে, দেশটির দুটি মেডিক্যাল সংস্থা বলছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে অন্যান্য, গুরুতর রোগী ও জরুরি মেডিক্যাল সেবাদানের সক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে।
তারা বলছে, হাসপাতালগুলো ইতোমধ্যে অন্য রোগীদের ফিরিয়ে দিতে শুরু করেছে। অন্যান্য দেশের চেয়ে করোনা রোগীর সংখ্যা জাপানে কম হওয়ার পরও এসব ঘটছে। অন্যদিকে, পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রীর ঘাটতি দেখা দেয়ায় জাপানের করোনা মোকাবিলা প্রস্তুতি ভালো নয় বলে অভিযোগ করেছেন চিকিৎসকরা।
এসআইএস/জেআইএম
Advertisement