বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সাধারণ ছুটি, লকডাউনের মধ্যেই বৃহস্পতিবার ‘সারাদেশ ঝুঁকিপূর্ণ’ ঘোষণা করা হয়েছে। এ অবস্থায় প্রায় ২৫ দিন ধরে মানুষ কর্মহীন হয়ে ঘরবন্দী হয়ে আছে। দরিদ্র, অতিদরিদ্র, নিন্মবিত্ত মানুষের ঘরে খাবার সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। সরকারের ত্রাণ সহায়তা খুবই অপ্রতুল ও চুরি, দুর্নীতি, দলীয়করণ দোষে দুষ্ট। ঢাকা এবং বাইরের জেলায়ও ত্রাণের জন্য মানুষ রাস্তায় বিক্ষোভ-অবরোধ করছে।
Advertisement
শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, একদিকে অপ্রতুল ত্রাণ সামগ্রী অন্যদিকে সরকার দলীয় জনপ্রতিনিধি ও নেতা-কর্মীদের ত্রাণের চাল, ডাল, তেল চুরি ও লুটপাটের ঘটনা প্রতিদিন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। ত্রাণ চোরদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না করলে এই চুরি-দুর্নীতি বন্ধ করা যাবে না। রিলিফ চোরদের পেছনে রয়েছে রাঘববোয়ালরা। তাই এই চোররা মনে করে তাদের আশ্রয়দাতারা আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে তাদের বের করে নেবে বা বাঁচাবে।
বিবৃতিতে খালেকুজ্জামান বলেন, প্রধানমন্ত্রী রিলিফ চোরদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিলেও ত্রাণ চুরি বন্ধ হচ্ছে না বরং প্রতিদিন বেড়েই চলছে। অন্যদিকে চুরি থামাতে না পেরে জনসমাগমের মিথ্যা অজুহাতে ওএমএস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে যা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ যেন মাথা ব্যথায় মাথা কেটে ফেলার মতো অবস্থা।
Advertisement
বিবৃতিতে তিনি ত্রাণ চোরদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে রিলিফ চুরি বন্ধ ও দরিদ্র, অতিদরিদ্র, নিন্মবিত্ত, বস্তিবাসী, ছিন্নমূল কর্মহীন-রোজগারহীন সবার ত্রাণ সহায়তা নিশ্চিত করতে এলাকায় এলাকায় গণতদারকি কমিটি গঠন করার জন্য দেশের সব দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল, সামাজিক শক্তি ও ব্যক্তির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এফএইচএস/এমএফ/এমএস