‘দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে আজ ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত সর্বমোট এক হাজার ৮৩৮ রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি আছে প্রায় ৫০০ জন। অর্থাৎ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন প্রায় ৩৩ শতাংশ রোগী। বাকিরা হোম বা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন। গত ৩৭ দিনে আইসিইউ সাপোর্ট নিয়েছেন মাত্র ২৭ জন অর্থাৎ ১ দশমিক ৮ শতাংশ রোগী। এ হারে ১০ হাজার রোগীর আইসিইউ সাপোর্ট লাগলে তাদের জন্য ১৮০টি ভেন্টিলেটর মেশিন লাগবে। আক্রান্ত ৮০ শতাংশ রোগী এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। শুধুমাত্র মুমূর্ষু রোগীর জন্য ভেন্টিলেটর লাগে। বাকি রোগীদের অক্সিজেন ও কিছু ওষুধ হলেই চলে। সারাদেশে অক্সিজেনের সরবরাহ রয়েছে। পিপিইর অভাব নেই।’
Advertisement
স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস নিয়ে নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে যুক্ত হয়ে শুক্রবার (১৭এপ্রিল) স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক অঙ্কের ফর্মুলার মতো হিসাব কষে দেশে ১০ হাজার রোগীকে আইসিইউ সাপোর্ট দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভেন্টিলেটর মেশিন, অক্সিজেন, পিপিই ও অন্যান্য ওষুধপত্রসহ সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে বলে আশ্বস্ত করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অঙ্কের এমন ফর্মুলা আর সারাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির কতটুকু মিল রয়েছে— তা নিয়ে সর্বমহলে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। স্বাস্থ্য ও রোগতত্ত্ববিদদের অনেকের মতে, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এ ধরনের সহজ হিসাব কষা করোনায় আক্রান্ত রোগীদের সুষ্ঠু চিকিৎসাসেবা প্রদান আরও বেশি ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। তারা বলছেন, অঙ্কের ফর্মুলায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সফল হলেও বাস্তবে ঢাহা ফেল মেরেছেন! তার বাস্তব প্রমাণ, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে মহামারি করোনাভাইরাস। ফলে ভাইরাসটিতে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৭৫ জনের। করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ২৬৬ জন। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল এক হাজার ৮৩৮ জনে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চীনের উহান থেকে গত ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়। বাংলাদেশে প্রথম রোগী চিহ্নিত হয় ৮ মার্চ। অর্থাৎ বাংলাদেশ তথা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় রোগটি প্রতিরোধের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সময় পেয়েছে। এত সময় পাওয়ার পরও রাজধানীসহ সারাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি। করোনার রোগীদের চিকিৎসার জন্য আইসিইউতে ভেন্টিলেটর মেশিন ও সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইনের সুবিধাসহ পৃথক হাসপাতাল স্থাপন করা যায়নি।
Advertisement
ইতোমধ্যে উত্তরার কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালসহ করোনার রোগীদের জন্য যে হাসপাতালগুলো ‘ডেডিকেটেড’ ঘোষণা করা হয়েছে সেগুলোতেও পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিয়ে সাজানো সম্ভব হয়নি। বর্তমানে প্রধান যে দুটি হাসপাতালে করোনার রোগীদের চিকিৎসা চলছে সেগুলোতে আক্সিজেনের সেন্ট্রাল লাইন নেই। আরও যেসব হাসপাতালের নাম বলা হয়েছে সেগুলোতেও সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন-তো দূরের কথা আইসিইউ চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য সাধারণ সুযোগ-সুবিধাও নেই। চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রীর যথেষ্ট সরবরাহ রয়েছে বলে দাবি করা হলেও প্রতিটি হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা অধিকাংশ পিপিই’র মান নিম্নমানের এবং সাধারণ মাস্ককে এন-৯৫ মাস্ক বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন। করোনা মোকাবিলার প্রস্তুতিতে নানাবিধ বৈষম্য ও প্রতিকূলতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বরাবর খোলা চিঠিও লিখেছেন এক নার্স। চিকিৎসক ও নার্সরা সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে সিলেট মেডিকেল কলেজের এক সহকারী অধ্যাপক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে তিনি নিজে আক্রান্ত জানিয়ে সিলেট থেকে ঢাকায় আসার জন্য সরকারি অ্যাম্বুলেন্স চেয়েও পাননি।
এদিকে, কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে বাজেটের অভাবে নার্সরা না খেয়ে ডিউটি করছেন— এমন খবরও উঠে এসেছে। রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালের চার শতাধিক নার্স আজ (শুক্রবার) অভিযোগ করে বলেছেন যে, তারা গত ৪/৫ দিন ধরে নিজেদের বাসা থেকে ব্যক্তিগত ব্যবহার সামগ্রী নিয়ে হাসপাতালে এলেও তাদের আবাসিক সমস্যা ও খাবার-দাবারের সমস্যার সমাধান হয়নি।
গত বেশ কিছুদিন ধরে অনলাইন প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের কোনো প্রশ্ন করার সুযোগ দেয়া হয় না। ফলে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, সচিব, মহাপরিচালক বা আইইডিসিআর পরিচালকের কাছে নানা অসঙ্গতি তুলে ধরে প্রশ্নও করা যাচ্ছে না। গণমাধ্যমের প্রশ্ন না থাকায় সার্বিক প্রস্তুতিতে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন সংশ্লিষ্টরা।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা সংক্রমণের শুরুর দিকে বারবার বেশি বেশি মানুষের নমুনা পরীক্ষার কথা বলা হলেও তা করা হয়নি। যখন রোগটির সামাজিক সংক্রমণ ঘটতে শুরু করে তখন টনক নড়ে। তড়িঘড়ি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরি স্থাপন করে অধিক সংখক নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়। অধিক নমুনা পরীক্ষায় অধিক সংখ্যক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়।
Advertisement
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। তার ১০ দিন পর দেশে প্রথম করোনায় আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়। এরপর থেকে হাতেগোনা কয়েকজনের আক্রান্তের খবর মেলে। কিন্তু গত কয়েকদিনে পাল্টে যায় এ চিত্র। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে গত ৫ এপ্রিল থেকে আজ (১৭ এপ্রিল) পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৮৮, ১২৩, ১৬৪, ২১৮, ৩৩০, ৪২৪, ৪৮২, ৬২১, ৮০৩, ১০১২, ১২৩১, ১৫৭২ ও ১৮৩৮ জনে। একই সময়ে মৃতের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়ে যথাক্রমে ৮, ১২, ১৭, ২০, ২১, ২৭, ৩০, ৩৪, ৩৯, ৪৬, ৫০, ৬০ ও ৭৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
এমতাবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ এক জরুরি ঘোষণায় বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারি আকারে বিস্তার লাভ করায় লাখ লাখ লোক আক্রান্ত হয়েছে এবং লক্ষাধিক লোক মৃত্যুবরণ করেছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় এ ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে। হাঁচি, কাশি ও পরস্পর মেলামেশার কারণে এ রোগের বিস্তার ঘটে। এখন পর্যন্ত বিশ্বে এ রোগের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী এ রোগের একমাত্র প্রতিষেধক হলো পরস্পর থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে অবস্থান করা। যেহেতু জনসাধারণের একে-অপরের সঙ্গে মেলামেশা নিষিদ্ধ করা ছাড়া সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব নয় এবং যেহেতু বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় এই রোগের সংক্রমণ ঘটেছে সেহেতু সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৬১নং আইন) এর ১১ (১) ধারার ক্ষমতাবলে সমগ্র বাংলাদেশকে সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করা হলো।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী অঙ্কের ফর্মুলায় হিসাব না কষে বাস্তবিক অর্থে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের জন্য আইসিইউ বেডসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা, সার্বক্ষণিক সেবা প্রদানের জন্য প্রশিক্ষিত চিকিৎসক-নার্সদের তালিকা প্রণয়ন, চিকিৎসক, নার্স ও টেকনোলজিস্টসহ সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য উন্নতমানের পিপিই সরবরাহ নিশ্চিত করা, এন-৯৫ মাস্কসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় মাস্ক সরবরাহ করা, যেসব হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন নেই সেগুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুত রাখা, চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য আবাসন ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
তাদের মতে, অঙ্কের ফর্মুলায় হিসাব কষে সম্পূর্ণ নতুন ধরনের এ ভাইরাসকে ঠেকানো সম্ভব নয়। সংখ্যায় কম হলেও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না পেয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকবে। প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির অভাবে মৃত্যু হলেও অচেনা ভাইরাসের কারণে চেষ্টার পরও মারা গেছে হয়তো বলা যাবে কিন্তু বাস্তবে প্রকৃত চিকিৎসা না পেয়ে তাদের মৃত্যু হবে।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলন কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. মাহবুব-ই-রশীদ বলেন, শুরু থেকেই আইইডিসিআর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুসারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এক্ষেত্রে শুরু থেকে রোগতত্ত্ববিদ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, ভাইরোলজিস্টসহ অন্যান্য চিকিৎসকদের নিয়ে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় (আর্থ-সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা এবং সামাজিক প্রেক্ষাপট) সামনের দিনগুলোতে কী হতে পারে, তা প্রক্ষেপণ করে কাজ করতে পারত। শুরুতে এমনটা করা হয়নি।
বর্তমানে কী করা উচিত— এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমানে টিআইটি (টেস্ট, আইসোলেট অ্যান্ড ট্রিট) পদ্ধতিতে বেশি বেশি নমুনা পরীক্ষা করে যারা শনাক্ত হবেন তাদের-কে সবার কাছ থেকে আলাদা করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করতে হবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। তবে স্বল্পসংখ্যক রোগী বিশেষ করে যারা জটিল রোগব্যাধিতে ভোগেন তাদের জন্য আইসিইউ ও ভেন্টিলেটর সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। তা না করা গেলে রোগী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম এ ফয়েজ বলেন, বর্তমানে সারাদেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা হ্রাস ও মৃত্যুর হার কমাতে হলে মানুষের সাথে মানুষের কাছাকাছি অবস্থান বন্ধ করতে হবে। এক্ষেত্রে যা-ই প্রয়োজন তা করতে হবে। সরকার কী করছে সেদিকে না তাকিয়ে নিজের স্বার্থে, পরিবারের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে সকলকে একত্রে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রোগতত্ত্ব ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। প্রয়োজনে কঠোর আইনের প্রয়োগ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এখন সরকারের কাজের সমালোচনা না করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সকলকে কাজ করতে হবে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রস্তুতি যথেষ্ট ছিল কি-না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ রোগের গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে কেউ কিছু জানত না। এটি সম্পূর্ণ নতুন। মাত্র তিন মাস আগের একটি অজানা রোগ। উন্নত বিশ্বের মতো আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থা এত উন্নত নয়। তবুও সীমিত সম্পদে প্রচেষ্টা চলছে।’
‘আমরা কি কখনও চিন্তা করেছি, আমাদের দেশে ২০টি ল্যাবরেটরিতে করোনা পরীক্ষা হবে, আমরা এভাবে সামাজিক বিচ্ছিন্ন থাকব, ঘরে-বাইরে সর্বত্র মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহার করব, হাঁচি হলে হাত দিয়ে মুখ ঢেকে দেব, বাইরে থেকে ফিরে সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোব, দ্রুততার সাথে হাসপাতাল তৈরির পরিকল্পনা— এসব কি কখনও ভেবেছি? এর সাথে বিশাল অঙ্কের অর্থ জড়িত। তবুও সরকারিভাবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রচেষ্টা চলছে বলে মনে করি’- যোগ করেন এ বিশেষজ্ঞ।
এমইউ/এমএআর/জেআইএম