খেলোয়াড়ি জীবনে তার শক্তিমত্তা, দম ছিল অন্যদের থেকে আলাদা। দৃঢ়সংকল্প আর হার না মানা মানসিকতার জন্য পরিচিত ছিলেন নরম্যান হান্টার। কিন্তু জীবনযুদ্ধে এসে করোনার কাছে হার মানতে হলো ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলারকে।
Advertisement
৭৬ বছর বয়সী ইংল্যান্ডের সাবেক এই ডিফেন্ডার গত ১০ এপ্রিল করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। এক সপ্তাহ চিকিৎসার পর ভাইরাস থেকে রেহাই পেলেন না। চলে গেলেন দুনিয়ার মায়া ছেড়ে। তার মৃত্যুতে বিশ্ব ফুটবলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
খেলোয়াড়ি জীবনে যে ক্লাবে খেলে পরে কিংবদন্তি খেতাব পেয়েছেন, সেই লিডস ইউনাইটেড ঘরের মানুষটিকে হারিয়ে শোকাহত।
এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘আমাদের ক্লাব কিংবদন্তি নরমান হান্টার ৭৬ বছর বয়সে মারা গেছেন। খবরটি শুনে লিডস ইউনাইটেড শোকাহত। লিডস পরিবারে তিনি বড় একটা শূন্যতা তৈরি করে গেলেন। তার রেখে যাওয়া কীর্তি কখনও ভোলা যাবে না। আমরা এই কঠিন সময়ে নরমানের পরিবার এবং স্বজনদের সহানুভূতি জানাচ্ছি।’
Advertisement
১৫ বছরের ক্যারিয়ারে লিডসের জার্সিতে ৭২৬টি ম্যাচ খেলেন হান্টার। দু’টি লিগ শিরোপাও জিতেছেন। ১৯৭৫ সালে লিডসের হয়ে ইউরোপিয়ান কাপের ফাইনালে খেলেছেন তিনি, যে ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে শিরোপা স্বপ্ন ভাঙে হান্টারদের।
১৯৬৫ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের হয়ে ২৮টি ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করেন হান্টার। স্যার আল্ফ রামসে’র অধীনে ১৯৬৬ বিশ্বকাপজয়ী ইংল্যান্ডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন সাবেক এই সেন্টার ব্যাক।
এমএমআর/পিআর
Advertisement