ত্রাণ চুরি-দুর্নীতির সাথে যুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেছেন, রিলিফ চুরি বন্ধ ও হতদরিদ্রদের ত্রাণপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সকল দল-সামাজিক শক্তি মিলে গণতদারকি কমিটি গঠন করুন।
Advertisement
শুক্রবার গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সাধারণ ছুটি, লকডাউনের মধ্যেই গতকাল ‘সারাদেশ ঝুঁকিপূর্ণ’ ঘোষণা করা হয়েছে। এ অবস্থায় প্রায় ২৫ দিন ধরে মানুষ কর্মহীন, রোজগারহীন অবস্থায় ঘরে বন্দি হয়ে আছে। দরিদ্র, অতিদরিদ্র, নিম্নবিত্ত মানুষের ঘরে খাবার সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। সরকারের ত্রাণ সহায়তা খুবই অপ্রতুল এবং চুরি, দুর্নীতি, দলীয়করণ দোষে দুষ্ট। ঢাকা এবং বাইরের জেলায়ও ত্রাণের জন্য মানুষ রাস্তায় বিক্ষোভ করছে, অবরোধ করছে।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, একদিকে অপ্রতুল ত্রাণসামগ্রী অন্যদিকে সরকার-দলীয় জনপ্রতিনিধি ও নেতাকর্মীদের ত্রাণের চাল, ডাল, তেল চুরি ও লুটপাটের ঘটনা প্রতিদিন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। ত্রাণ-চোরদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না করলে এহেন চুরি-দুর্নীতি বন্ধ করা যাবে না। রিলিফ-চোরদের পেছনে রয়েছে রাঘব বোয়ালেরা, তাই এই চোরেরা মনে করে তাদের আশ্রয়দাতারা আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে তাদের বের করে নেবে, বাঁচাবে।
‘প্রধানমন্ত্রী রিলিফ-চোরদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিলেও ত্রাণ চুরি বন্ধ হচ্ছে না, প্রতিদিনই বেড়ে চলছে। অন্যদিকে চুরি থামাতে না পেরে জনসমাগমের মিথ্যা অজুহাতে ওএমএস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে যা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। এযেন মাথা ব্যাথায় মাথা কেটে ফেলার মতো।’
Advertisement
বিবৃতিতে তিনি ত্রাণ-চোরদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন এবং রিলিফ চুরি বন্ধ ও দরিদ্র, অতিদরিদ্র, নিম্নবিত্ত, বস্তিবাসী, ছিন্নমূল কর্মহীন-রোজগারহীন সকলের ত্রাণ সহায়তা নিশ্চিত করতে এলাকায় এলাকায় গণতদারকি কমিটি গঠন করার জন্য সকল দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল, সামাজিক শক্তি, ব্যক্তির প্রতি আহ্বান জানান।
এইউএ/এমএআর/জেআইএম