আন্তর্জাতিক

স্পেনে লকডাউন শিথিল: বেড়েছে মৃত্যু ও সংক্রমণ

স্পেনে লকডাউন শিথিলের তিনদিন পর করোনায় আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়তে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ৫৮৫ জন; যা আগের দিনের তুলনায় ৩৪ জন বেশি। এর আগে বৃহস্পতিবার দেশটিতে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মারা যান ৫৫১ জন।

Advertisement

বিশ্বে এই মুহূর্তে করোনাভাইরাসে মৃত্যুতে সবার শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইতালি। করোনায় মৃত্যুপরীতে পরিণত হওয়া এ দুই দেশের পর তৃতীয় স্থানে রয়েছে স্পেন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৮৮ হাজার ৬৮ জন।

তবে করোনা সংক্রমণে বিশ্বে সবার ওপরে থাকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্পেন। সেখানে এখন পর্যন্ত করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৯ হাজার ৪৭৮ জন।

স্প্যানিশ স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে আরও ৫ হাজার ২৫২ জনকে করোনায় সংক্রমিত হিসাবে শনাক্ত করেছে। এর ফলে দেশটিতে করোনা সংক্রমণের হার ২ দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

Advertisement

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, দেশটির আঞ্চলিক কর্মকর্তারা করোনায় মৃত এবং আক্রান্তের সংখ্যা সরকারিভাবে যা জানানো হচ্ছে তারচেয়ে অনেক বেশি হবে বলে অভিযোগ করেছেন। স্পেনের স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল কাতালোনিয়া কর্তৃপক্ষ বুধবার থেকে সেখানকার হাসপাতাল, বাসা ও সরকারি-বেসরকারি নার্সিং হোমে করোনায় মৃতদের সংখ্যা নথিভূক্ত করছে। যে কারণে এই অঞ্চলে মৃতের সংখ্যা ২৪ ঘণ্টায় দ্বিগুণ হয়েছে।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে জারিকৃত লকডাউনে গত সোমবার থেকে শিথিলতা এনেছে স্পেন। দেশটির বেশকিছু খাতের কর্মীদের কাজে ফেরার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এতে লাখ লাখ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন।

কয়েকদিন ধরে দেশটিতে করোনায় মৃত্যু এবং সংক্রমণের সংখ্যা কমে আসায় পরিস্থিতির উন্নতি দেখছে স্পেন সরকার। যে কারণে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, নির্মাণ শিল্প ও উৎপাদন খাত পুনরায় খুলে দেয়ার অনুমতি দেয়া হয়। তবে লকডাউন শিথিলের পরদিন থেকেই দেশটিতে সংক্রমণ এবং মৃত্যু আবারও বাড়তে শুরু করেছে।

নির্দিষ্ট কিছু খাতের মানুষকে কাজে ফেরার অনুমতি দেয়া হলেও দেশটির অধিকাংশ মানুষকে এখনও ঘরেই কাটাতে হবে। আগামী ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত দোকান-পাট, বার, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য জনসমাগমপূর্ণ এলাকা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে দেশটি সরকার।

Advertisement

এসআইএস/জেআইএম