ঢাকাই সিনেমার আলোচিত অভিনেতা অনন্ত জলিল। যিনি একাধারে একজন চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, নায়ক ও ব্যবসায়ী। ২০১০ সালে ‘খোঁজ-দ্যা সার্চ’ সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউড চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেন। এরপর ১০টি বছর পেরিয়ে গেছে। আরও বেশ কিছু সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। আজ এই নায়কের জন্মদিন। জাগো নিউজের পক্ষ থেকেই তার প্রতি রইলো জন্মদিনের শুভেচ্ছা। শুভ জন্মদিন অনন্ত জলিল।
Advertisement
অনন্ত জলিল ও লেভেল আর এ লেভেল করেছেন ঢাকার অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে। এরপর ম্যানচেস্টার থেকে বিবিএ এবং ফ্যাশন ডিজাইনিং পড়েন। শোনা যায় পাঁচ বছর বয়সে তার মা মারা যায়। মুন্সিগঞ্জ জেলায় বাবার কাছে বড় হয়েছেন তিনি।
১৯৯৯ সালে গার্মেন্টস ব্যবসায়ী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এর অনেক পরে চলচ্চিত্র ব্যবসায় বিনিয়োগ করেন, নিজের প্রযোজনা সংস্থার মাধ্যমে। ব্যাবসিক ও অভিনেতার পাশাপাশি অনন্ত জলিল সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও থাকেন সব সময়।পরোপকারী মানুষ হিসেবেও বিশেষ সুনাম আছে অনন্তর। দেশের নানা দুর্যোগে তিনি ছুটে গেছেন অসহায় মানুষদের জন্য। চলমান করোনা সংকটেও চলচ্চিত্রের দুস্থ শিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তার এই উদ্যোগ প্রশংসিত হচ্ছে সব মহলে।
২০১০ সালে মুক্তি পাওয়া প্রথম ছবিতেই বাজিমাত করে দেন অনন্ত জলিল। তাকে বলা হয় ডিজিটাল যুগের প্রথম নায়ক। অভিনয়, উচ্চারণ, লুক নিয়ে অনন্ত শুরুর দিকে হাসির পাত্র হলেও তার ছবিতে হলিউডি ধাঁচের অ্যাকশন, ভিএফএক্স চোখ ধাঁধিয়ে দিয়েছিল দর্শকের।
Advertisement
এরপর নিজেকে সমৃদ্ধ করেছেন তিনি ধীরে ধীরে। এক দশকের যাত্রায় এই নায়ক উপহার দিয়েছেন ছয়টি ব্যবসা সফল সিনেমা। তারমধ্যে ২০১২ সালে মুক্তি পাওয়া ‘মোস্ট ওয়েলকাম’ ছবিটির ব্যবসা ছিল উল্লেখ করার মতো। সেই সাফল্যের প্রেরণায় ২০১৪ সালের কোরবানি ঈদে মুক্তি পায় ‘মোস্ট ওয়েলকাম টু’। আগের পর্বটির মতো দ্বিতীয়টিও ধুমধাম ব্যবসা করতে সক্ষম হয়।
‘নিঃস্বার্থ ভালোবাসা’ সিনেমা দিয়ে পরিচালক হিসেবে যাত্রা করা অনন্ত’র পরিচালনায় দ্বিতীয় সিনেমা ছিল ‘মোস্ট ওয়েলকাম টু’। তার অভিনীত অন্য ছবিগুলোর মধ্যে আছে গাজী মাঝহারুল আনোয়ার পরিচালিত ‘হৃদয় ভাঙা ঢেউ’, সোহানোর রহমান সোহান পরিচালিত ‘দ্য স্পীড’, অনন্য মামুন পরিচালিত ‘মোস্ট ওয়েলকাম’। মাঝে সিনেমায় বিরতি দিয়েছিলেন এই নায়ক।
দীর্ঘ ছয় বছরের বিরতি কাটিয়ে অনন্ত আবারও ফিরেছেন ইরানের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘দিন-দ্য ডে’ নিয়ে। এখানে স্ত্রী বর্ষার বিপরীতেই হাজির হবেন তিনি। ছবিটি পরিচালনা করছেন ইরানি নির্মাতা মুর্তজা অতাশ জমজম। যদি করোনা পরিস্থিত শান্ত হয়ে তাহলে আসছে কোরবানি ঈদে মুক্তি পাবে এই ছবি। এছাড়া সৈনিক , দ্যা স্পাই নামেও একটি ছবির কাজ শুরু করেছেন তিনি।
এমএবি/পিআর
Advertisement