শ্রমিকদের মজুরি না দেয়া গার্মেন্টস মালিকদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নামক একটি সংগঠন।
Advertisement
শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আহসান হাবিব বুলবুল এবং সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
তারা বলেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণের এই দুর্যোগে শ্রমিকদের রক্ষার পরিবর্তে যেসব মালিক সরকার নির্ধারিত সময়েও মার্চ মাসের মজুরি পরিশোধ না করে হাজার-হাজার শ্রমিককে চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে ঠেলে দিয়েছেন, সেই মালিকদেরকে গ্রেফতার এখন সময়ের দাবি।’
নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘বছরের পর বছর যাদের শ্রম-ঘামে গার্মেন্টস শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান স্তম্ভে পরিণত হয়েছে, এই শিল্পের মালিকরা সম্পদশালী-প্রতাপশালী হয়েছে, অথচ করোনা দুর্যোগের এই ক্রান্তিকালে সেই গার্মেন্টস শ্রমিকদের বাঁচাতে মালিকরা দায়িত্ব নিচ্ছে না। শ্রম আইন অনুসারে, ৭ এপ্রিলের মধ্যে পূর্ববর্তী মাসের মজুরি পরিশোধের বিধান থাকলেও করোনার বিশেষ অবস্থা বিবেচনায় সরকার মার্চ মাসের মজুরি পরিশোধের জন্য মালিকদের ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দেয়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য ছুটি দেয়ার পূর্বেই তাদের মার্চ মাসের মজুরি পরিশোধ করা জরুরি ছিল। অথচ সরকার নির্ধারিত অতিরিক্ত সময়ের শেষ দিনেও ঢাকা, সাভার-আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরের অর্ধশতাধিক কারখানার শ্রমিকদের বকেয়া মজুরির পরিশোধের দাবিতে বিক্ষোভ করতে হয়েছে।’
Advertisement
তারা আরও বলেন, ‘শ্রম আইনের লে-অফ, ছাঁটায় সংক্রান্ত বিধি-বিধান সমূহ স্বাভাবিক সময়ের জন্য প্রযোজ্য, দুর্যোগকালীন পরিস্থিতির জন্য নয়। এছাড়াও সাধারণ ছুটির মধ্যে শ্রমিকদের প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ বন্ধ থাকায় যেকোনো অজুহাতেই শ্রমিকের মজুরি কর্তন বা শ্রমিক ছাঁটাই আইনসিদ্ধ নয়। তাই করোনা ছুটিকালীন সময়ে বে-আইনি প্রক্রিয়ায় ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের পুনর্বহাল এবং লে-অফের মজুরি নয়, সাধারণ ছুটি সময়ের পূর্ণ মজুরি পরিশোধ করতে হবে। অবিলম্বে মার্চ মাসের মজুরিসহ বকেয়া মজুরি পরিশোধ এবং এপ্রিল মাসের মজুরি প্রদান প্রক্রিয়া শুরু করার আহ্বান জানাই মালিকদের।’
এএস/এফআর/পিআর