উপার্জন করার মতো কোনো সদস্য নেই এমন পরিবারে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছে ‘ফিউচার অব বাংলাদেশ’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
Advertisement
রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তে খোঁজখবর নিয়ে তারা এ খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন। এক্ষেত্রে কেউ যেন অস্বস্তিতে না পড়েন, সেজন্য তারা আড়ালে থাকার কৌশলও অবলম্বন করছেন।
শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় জাতীয় পতাকাবাহী একটি ভ্যানগাড়িতে কিছু প্যাকেট দেখা যায়। ওই ভ্যানে ছিলেন ‘ফিউচার অব বাংলাদেশ’র সাধারণ সম্পাদক শওকত আজিজ।
তিনি জাগো নিউজকে বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে দেশে কার্যত লকডাউন পরিস্থিতি চলছে। এই পরিস্থিতিতে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত, শ্রমিক শ্রেণীসহ অনেকে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। অনেকের কাছে নগদ অর্থ নেই, নেই খাদ্য সামগ্রীও। অনেকে নিদারুণ কষ্টে জীবনযাপন করছেন। সরকারি-বেসরকারি পর্যায় থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। অনেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রাণ নিচ্ছেন। কোথাও আবার ত্রাণের গাড়ির ওপর ক্ষুধার্তরা হামলে পড়ছেন, রাস্তায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। এর মধ্যেও কিছু মানুষ আছেন যারা কারও কাছে কিছু চাইতে পারছেন না, নামতে পারছেন না রাস্তায়, আমরা আমাদের স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে সেসব পরিবারের খোঁজ করছি এবং আমাদের সাধ্যমত তাদের বাসায় খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছি।
Advertisement
ভ্যানের প্যাকেটগুলো দেখিয়ে তিনি বলেন, এগুলো মিরপুর এলাকায় নিয়ে যাচ্ছি। ওই এলাকার কয়েকটি পরিবারের কাছে দিয়ে আসবো। তাদের কোনো ছবি তুলবো না। তাদের দরজার কাছে রেখে আসবো। পরে ফোন করে বলে দেবো, আপনার দরজায় কিছু খাদ্য সামগ্রী আছে এগুলো ঘরে নিন। আর এই সময়ে জানি কষ্ট হচ্ছে। তারপরও বলবো সতর্ক থাকবেন, সাবধান থাকবেন।
ভ্যানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন সম্পর্কে শওকত আজিজ বলেন, জাতীয় পতাকাই তো আমাদের পরিচয়। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত আমাদের এই লাল সবুজের পতাকা। আমাদের পূর্বপুরুষরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে যুদ্ধ করে এই পতাকা অর্জন করেছেন। আজ এই করোনা মহামারিতে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে করোনাকে পরাজিত করবো। তাই ভ্যানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছি।
কেএইচ/এইচএ/জেআইএম
Advertisement