ঘরে আর কতক্ষণ থাকতে ভালোলাগে! দিনের পর দিন ঘরে বন্দি থাকলে তার প্রভাব মনে পড়বেই। শারীরিক কসরত নেই, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা নেই, আগের সেই আনন্দ-আড্ডা কিছুই নেই। এমন সময় একঘেয়েমি আসবেই। তাই বলে কি বিছানায় পড়ে পড়ে ঘুমাবেন? তাতে কিন্তু শরীরের বারোটা বাজবে, সেইসঙ্গে মনেরও।
Advertisement
এমন অবস্থায় নিজের দিকটা নিজেকেই দেখতে হবে। একঘেয়েমি কাটিয়ে চাঙ্গা করে তুলতে হবে নিজেকে। অকারণ মানসিক চাপ আর বিরক্তিতে না ভুগে ধীরে ধীরে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করাই ভালো। কিছু কাজ আপনার একঘেয়েমি কাটিয়ে দিতে পারে-
নাচ: সাউন্ড সিস্টেমে যেকোনো পছন্দের গান বা মিউজিক চালান আর তালে তালে হাত পা খেলিয়ে নাচতে থাকুন। ইচ্ছে করলে ইউটিউব দেখে নাচ শিখতেও পারেন! নতুন কিছু শেখাও হবে, মনও ভালো থাকবে। বাড়তি পাওনা ফিটনেস।
পোষা প্রাণি: আপনাকে সারাক্ষণ বাড়িতে দেখে আপনার পোষা প্রাণিটি কিন্তু দারুণ আহ্লাদিত। তার সঙ্গেই সময় কাটিয়ে দিতে পারেন। বল নিয়ে খেলুন, ছাদে হাঁটাতে নিয়ে যান। দিব্যি কেটে যাবে সময়!
Advertisement
ইনডোর গেমস: ক্যারম বোর্ড বা লুডোর ছকটা নিয়ে বসতে পারেন। রোজ বিকেলে বাড়ির সবার সঙ্গে খেলার আসর বসান। একেকদিন একেকরকম খেলা বেছে নিন, চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন করুন। দারুণ কাটবে প্রত্যেকটা দিন।
রান্না: মন খারাপের ভাবটা কমাতে সাহায্য করে রান্না। ইন্টারনেট দেখে শিখে নিন এই সময়ের উপযোগী হালকা অথচ সুস্বাদু আইটেম, আর নতুন নতুন রান্না ট্রাই করুন।
সোশ্যালমিডিয়া চ্যালেঞ্জ: কোভিড-19 সংকটে পরস্পরের সঙ্গে জুড়ে থাকার অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া। নানারকম চ্যালেঞ্জ পরস্পরকে দিচ্ছেন বন্ধুরা, নানাভাবে হালকা করার চেষ্টা করছেন মন। এসব মজার চ্যালেঞ্জ থেকে কোনো একটা আপনিও বেছে নিন। খানিকক্ষণ সময় সবার সঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে জুড়ে থাকতে ভালোই লাগবে।
এইচএন/এমএস
Advertisement