দেশজুড়ে

মাছ ধরা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১

পাবনার বেড়ায় গোষ্ঠিগত দ্বন্দ্বের জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আয়নুল হক সেখ (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। এ সময় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান আয়নুল।

Advertisement

এ ঘটনায় অন্তত ২০টি বাড়িঘর, দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ৩ জনকে আটক করেছে। বেড়া উপজেলার কৈটলা ইউনিয়নের মাছখালি গ্রামে মাছ ধরা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রামাণিক গোষ্ঠি (সালা উদ্দিন গ্রুপ) ও শেখ গোষ্ঠির (আতাই মেম্বর গ্রুপ) মধ্যে এলাকায় প্রভাব বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধায় মাছখালি গ্রামের হাবিবর প্রামাণিকের ছেলে মজিবর প্রামাণিক (৩৫) ও একই গ্রামের মিন্টু শেখের ছেলে আব্দুল্লাহর (২৫) মধ্যে জলায় মাছ ধরা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এ পর্যায়ে মজিবরের ভাই রওশনকে মারপিট করে প্রতিপক্ষ। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) সকালে প্রামাণিক গোষ্ঠির লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে শেখ গোষ্ঠির লোকজনের বাড়িতে হামলা করে। এ সময় উভয় পক্ষ লাঠিসোটা, ইট পাটকেল নিয়ে পাল্টাপাল্টি হামলা চালায়। দু’দিন ধরে সংঘর্ষের ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে।

খবর পেয়ে বেড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে ৩ জনকে আটক করে। এ ঘটনায় আহত আয়নুল হক সেখ (৩০), রওশন প্রামানিক(৩০), মিন্টু শেখ(৫০), মুবাই শেখ (৩০), ওসমান গনি (৩৪), মোহাম্মদ আলী (৩০), কালু (৩০) ও রমজানকে (২৮) বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকে ভর্তি করা হয়। অবস্থার আবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য আয়নুল হক শেখকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি মারা যান।

Advertisement

এদিকে আয়নুল হক শেখের মৃত্যুর খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে শেখ গোষ্ঠির লোকজন একত্রিত হয়ে প্রামানিক গোষ্ঠির প্রায় ২০টি ঘরবাড়ি, দোকান পাট ভাংচুর, লুটপাট করে। বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিদ মাহমুদ খাঁন বৃহস্পতিবার বিকেলে জানান, মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১ জন নিহত হয়েছেন। ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে বলে তিনি জানান। মামলার প্রস্ততি চলছে।

একে জামান/এফএ/এমকেএইচ