ক্যাম্পাস

বার কোডে ব্যর্থ : কৌশল খুঁজছে জালিয়াত চক্র

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষায় নতুনভাবে চালু হয়েছে বারকোড পদ্ধতি।ফলে সব ধরণের কৌশলই ব্যর্থ হয়েছে প্রশ্নপত্র ফাঁস জালিয়াতি চক্রের। তাই এবার নতুন কৌশল খুঁজছে জালিয়াতি চক্র। একটি সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।জানা গেছে, সেট কোড পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের খুব সহজেই উত্তর পত্র পাঠিয়ে দিতো প্রশ্ন ফাঁস চক্রটি। কিন্তু এবার সেট কোড না থাকায় তারা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তাই চক্রটি নতুনভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কৌশল পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই অনিয়ম ছাড়াই ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আসছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ৮৯ বছরের সোনালী ঐতিহ্য  ভেঙ্গে ২০১০-১১ সেশনে প্রথমবারের মতো জালিয়াতি চক্রের খপ্পরে পড়ে ভর্তি পরীক্ষা। সেবারই শুরু হয় ডিজিটাল জালিয়াতি। পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যেই কেন্দ্র থেকে বাহিরে চলে যায় প্রশ্নপত্র। আর বাহিরে থাকা চক্রগুলো প্রশ্নের সমাধান করে বিভিন্ন মাধ্যমে তা চুক্তিবদ্ধ শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেয়। এরপর ২০১১-১২, ১২-১৩, ১৩-১৪ এবং সর্বশেষ ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষেও এ কৌশল অবলম্বন করে চক্রটি।তবে প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে গত বছর ‘ঘ’ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় শুরু হয় বার কোড পদ্ধতির ব্যবহার। এতে ভালো সাফল্যও পায় ঢাবি কর্তৃপক্ষ।  ফলে হোঁচট খায় চক্রগুলো।  এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৫-১৬ সেশন থেকে সব পরীক্ষায় বার কোড পদ্ধতি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয় ভর্তি কমিটি।ভর্তিচ্ছু কয়েকজন শিক্ষার্থীর মাধ্যমে জানা যায়, ফেসবুকে এখনো সক্রিয় রয়েছে চক্রগুলো। তারা শিক্ষার্থীদের ‘গ’ইউনিটসহ পরবর্তী সকল ইউনিটের প্রশ্ন দিবে বলেও জানিয়েছে। আবু তালেব (ছদ্মনাম) নামে একজন তার ফেসবুক ওয়ালে ঢাবি ও জবির ‘গ’, ‘ঘ’এবং ‘ক’ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন দেয়ার কথা জানিয়েছে। প্রশ্ন শতভাগ কমনের নিশ্চয়তা দিয়ে প্রয়োজনে তাদের গোপন নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।এছাড়া উদ্দীপন আমার নামে একজন লেখেন, প্রশ্নগুলো যাদের দিয়েছি আশা করি ভালোই দিয়েছ! আর আশা করি ঢাবিতে নিশ্চিত চান্স পেয়ে গেছো। তাই আসছে আগামী ১৬ অক্টোবর (গ) ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার আগের কারো প্রয়োজন হলে যোগাযোগ করিও। প্রয়োজন হলে দেখা করে নিতে পারো তবে গোপনে। যোগাযোগের জন্য পোস্টের নিচে একটি নম্বরও দিয়েছে সে।প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক জাগো নিউজকে বলেন, ঢাবিতে প্রশ্ন ফাঁস হয় না। এটি চক্রগুলোর মূলত অর্থ হাতিয়ে নেয়ার একটি কৌশল।তিনি আরো বলেন, পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতি এড়াতে ইতোমধ্যে বার কোড পদ্ধতি চালু করেছি। কারণ এ পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্রের কয়েকটি সেট  থাকে। যেখানে কোন শিক্ষার্থীর কাছে কোন সেট পড়েছে তা বলা মুশকিল।তিনি আরো বলেন, এবার ভ্রম্যমাণ আদালত রেখেছি, তারা কাজ করছে। আর এ বছর বাহিরে কেন্দ্র কম থাকায় শিক্ষকরাও কেন্দ্রগুলোতে একটু বেশি দেখভাল করার সুযোগ পাচ্ছেন। যার কারণে এবার কোনো চক্রই সুবিধা করতে পারছে না।এমএইচ/আরএস/এএইচ/আরআইপি

Advertisement