জাতীয়

শেষবারের মতো বাড়ল হজ নিবন্ধনের সময়

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চলতি বছর হজ গমনেচ্ছুদের জন্য নিবন্ধন কার্যক্রমের সময়সীমা শেষবারের মতো বাড়িয়েছে সরকার।

Advertisement

আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) ছিল পূর্বঘোষিত সময়সীমার শেষ দিন।

গত ১ মার্চ থেকে হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে হজ নিবন্ধনের সময়সীমা ১৫ মার্চ পর্যন্ত বেঁধে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে। নিবন্ধনে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না মানুষ। এরপর ১২ মার্চ তা ২৫ মার্চ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। পরে পর্যায়ক্রমে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

Advertisement

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে আগ্রহী প্রাক- নিবন্ধিত ব্যক্তিবর্গের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, হজ পালনে ইচ্ছুক, নিবন্ধনের জন্য পাসপোর্ট জমা প্রদানকারী অনেকে সরকারি ছুটির কারণে ব্যাংক থেকে নিবন্ধন ভাউচার গ্রহণ করতে পারেননি। ইতিমধ্যে নিবন্ধন ভাউচার গ্রহণকারী অনেকে টাকা জমা প্রদান করতে না পারায় নিবন্ধন করতে পারেননি। এমতাবস্থায় ২০২০ সালে সরকারি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের নিবন্ধনের সুবিধার্থে হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়সীমা শেষবারের মতো আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো।

সেখানে বলা হয়, সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত সকল প্রাক-নিবন্ধিত ব্যক্তিসহ হজগমনেচ্ছু যেকোনো ব্যক্তি নতুনভাবে একইসঙ্গে প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধন করতে পারবেন। অন্যদিকে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনার প্রাক-নিবন্ধনের সর্বশেষ ক্রমিক ৬ লাখ ৭২ হাজার ১৯৯ পর্যন্ত ব্যক্তিদের মধ্যে আগে আসলে আগে নিবন্ধন করা হবে ভিত্তিতে নিবন্ধন করতে পারবেন। পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের সুবিধার্থে আগামী ২৯ এপ্রিলের মধ্যে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধন কেন্দ্রে পাসপোর্ট দাখিল করতে হবে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা শুধুমাত্র ১ লাখ ৫১ হাজার ৯৯০ টাকা জমা প্রদান করে নিবন্ধন করবেন। আপাতত কোন অবস্থাতেই এর অতিরিক্ত টাকা জমা প্রদান করবেন না। কোনো হজযাত্রী এ পর্যায়ে ১ লাখ ৫১ হাজার ৯৯০ টাকার বেশি টাকা জমা প্রদান করলে এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, কোনো এজেন্সি নিবন্ধনের জন্য এর অতিরিক্ত টাকা দাবি করলে তাৎক্ষণিকভাবে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে জানাতে হবে। হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় গৃহীত অর্থ কোনো অবস্থাতেই এ পর্যায়ে হজ কার্যক্রম বাবদ বাংলাদেশে ব্যয় করা যাবে না এবং সৌদি আরবেও প্রেরণ করা যাবে না । ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ব্যতীত কোনো এজেন্সি ব্যাংক থেকে এ টাকা উত্তোলন করতে পারবে না। সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপকগণকে এ বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য অনুরোধ করা হলো।

উল্লেখ্য, চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন সহ সর্বমোট ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জনের হজে যাওয়া কথা রয়েছে।

Advertisement

১৬ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৪০৫ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫১ হাজার ১৬ জন নিবন্ধন করেছেন।

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এবারের হজ অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। সৌদি সরকার বর্তমানে ওমরা হজ কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। মক্কা ও মদিনার প্রধান মসজিদে নামাজে বন্ধ রাখা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত হজ হবে কি হবে না এ নিয়ে সরকারিভাবে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানা গেছে।

এমইউ/এফআর/এমকেএইচ