প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া খেটে খাওয়া মানুষ ও হতদরিদ্রদের জন্য হটলাইনে ফোন করলেই পৌঁছে যাচ্ছে খাদ্য সহায়তা। নির্বাচনী এলাকার সাড়ে ১২ হাজার মানুষের বাড়িতে ব্যক্তিগত অর্থায়নে এভাবেই খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনের সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অব.) এ.বি তাজুল ইসলাম। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী এবার নিয়েছেন ব্যতিক্রমী উদ্যেগ।
Advertisement
সংক্রমণ এড়াতে আসন্ন রোজায় ভ্রাম্যমাণ শপ করতে যাচ্ছেন তিনি। এই শপে ন্যায্যমূল্যে মিলবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। বর্তমানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। করোনার ঝুঁকি উপেক্ষা করে নিজেই বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে ঘুরে মানুষের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। স্থানীয় প্রশাসন, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কর্মতৎপরতার খোঁজ-খবরও রাখছেন প্রতিনিয়ত।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ.কে.এম শহিদুল হক জানান, সংসদ সদস্যের নির্দেশে ২০ সদস্যবিশিষ্ট ত্রাণ বিতরণ কার্যকরী কমিটি করা হয়েছে। এই কমিটির সদস্যদের কাছে দুটি হটলাইন নম্বর দেয়া হয়েছে। হটলাইনে কেউ ফোন করলে যাচাই-বাছাই করে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে খাদ্যসহায়তা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে সাংসদ তাজুল ইসলামের পক্ষ থেকে রোজার শুরুতে ১০ হাজার মানুষকে ইফতার সামগ্রী দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, বাজারে যেন আসতে না হয় সেজন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ভ্রাম্যমাণ শপ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
Advertisement
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনের সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অব.) এ.বি তাজুল ইসলাম বলেন, বৈশ্বিক এই দুর্যোগে সবাই মিলে একসঙ্গে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। খেটেখাওয়া ও হতদরিদ্রদের পাশে দাঁড়াতে হবে। আমি আমার সাধ্যমতো নিজের সবটুকু দিয়ে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছি।
আজিজুল সঞ্চয়/এফএ/পিআর