জাতীয়

পরিস্থিতি পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তার সরকারের জিরো টলারেন্সের কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ন করতে ও একটা পরিস্থিতি তৈরির লক্ষ্যেই সম্প্রতি দু’জন বিদেশিকে একই কায়দায় হত্যা করা হয়েছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং আমরা অশুভ শক্তির যেকোনো ধরনের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে প্রস্তুত রয়েছি।বুধবার তার কার্যালয়ে নেদারল্যান্ডের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠককালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।ব্রিফকালে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তার সরকারের অবিরত অভিযানের কথা উল্লেখ করেছেন। এসব পদক্ষেপ প্রতিবেশী দেশগুলোর জঙ্গি কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী দেশে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড উল্লেখ করে বলেছেন, তারা জাতির পিতার ঘাতকদের বিদেশে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল। তারা ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল এবং চলতি বছরের শুরুতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের নামে সারাদেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল।প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে নতুন এই দূতকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন প্রভাব, পানি ব্যবস্থাপনা, শিপিং, কৃষি এবং সমুদ্র ভূমি উদ্ধারের মতো অনেক সহযোগিতার ক্ষেত্র রয়েছে।শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার জনগণের জীবনমান উন্নয়নে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডের মতো উন্নত দেশগুলো আমাদেরকে সহায়তা করতে পারে।সম্প্রতি জাতিসংঘের মর্যাদাপূর্ণ দুটি পুরস্কার লাভ করায় এবং তার নেতৃত্বে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (এমডিজি) অর্জিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান ডাচ রাষ্ট্রদূত।বাংলাদেশে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখতে চাই।কৃষি, শিপিং ও সমুদ্র ভূমি উদ্ধার বিষয় দুই দেশের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেন, বর্তমান বিশ্ব একটি গ্লোবাল ভিলেজ এবং পরস্পরের উপর নির্ভরশীল। এ জন্য পারস্পরিক স্বার্থে সহযোগিতা প্রয়োজন।ডাচ রাষ্ট্রদূত আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অব্যাহত অগ্রগতির প্রশংসা করেন। নদী খনন, ভূমি উদ্ধার, বন্যা নিয়ন্ত্রণ অবকাঠামো নির্মাণ, উপকূলীয় এলাকায় সবুজ বেস্টনি গড়ে তোলাসহ জলবায়ু অভিযোজন পদক্ষেপে বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০-এর অধীনে চলমান যৌথ কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন।আরএস/আরআইপি

Advertisement