বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকা বিভাগের ৮ জেলার কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি করোনাভাইরাসের স্থানীয় প্রেক্ষাপট অবগত হয়েছেন কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিদের কাছ থেকে। এরপর যেখানে যা দরকার তা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে। এ বিভাগে করোনা আক্রান্ত রোগীদের যারা চিকিৎসা করছেন এবং যারা সহযোগিতা করছেন তাদের সকলকে সাবধান থাকতে হবে’।
Advertisement
তিনি বলেন, ‘যারা গরিব-দুঃখীদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যারা সেবায় নিয়োজিত আছেন, যারা চিকিৎসা করছেন, তাদের কাছ থেকে আমি কথা শুনতে চাই। শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা পৃথিবীর ২৫০ কোটি মানুষ ঘরবন্দি। মানুষের জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে গেছে। এর মধ্যেও আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। কিছু শিল্প-কলকারখানা চালু রাখতে হবে। আর কৃষিকাজ পুরোটাই অব্যাহত রাখতে হবে। তারাবির নামাজ ঘরে পড়া এবং বেশি বেশি করে আল্লাহকে ডাকা, যাতে তিনি আমাদের করোনামুক্ত করেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা হলেই তাকে জঙ্গলে ফেলে রেখে আসতে হবে এমন মানসিকতা যেন কারও না থাকে। নিরাপদ দূরত্ব থেকে করোনা রোগীকে চিকিৎসা করতে হবে। হায়াত-মউত আল্লাহর হাতে। আজ আমি এখানে বসে আছি, এখানেও মরতে পারি। যেকোনো জায়গায় মানুষের মৃত্যু হতে পারে। পৃথিবীর যে সব লোক অর্থ এবং অস্ত্রের দম্ভ করত, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় তাদের এই সব দম্ভ কাজে লাগেনি।’
ত্রাণ দেয়ার ক্ষেত্রে যে সব অভিযোগ আসছে সে বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সবাই মিলেমিশে কাজ করেন। কেউ কারও পিছনে লেগে কারও ক্ষতি করবেন না। কে আপনাকে ভোট দিলো না দিলো সে বিষয় বিবেচনা না করে প্রতিটি মানুষ যেন ত্রাণ পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। ত্রাণ নিয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১১ জনের ডিলারশিপ বাজেয়াপ্ত এবং ৪০ জনের সাজা হয়েছে। এগুলো নিয়ে আমরা তদন্ত করছি। তুলনামূলক হারে খুব কম দেখা যাচ্ছে অনিয়ম।’ যারা চাইতে পারে না বা লাইনে দাঁড়াতে পারে না তাদেরও তালিকাভুক্ত করে ঘরে ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
Advertisement
এ দিন ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এ সব কথা বলেন। সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে কনফারেন্স শুরু হয়। দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে শেষ হয়। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।
সকাল ১০টায় নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সেলিম রেজাকে গণভবনের সঙ্গে সংযুক্ত করার মধ্যে দিয়ে ভিডিও কনফারেন্স শুরু হয়। এখানকার জেলা প্রশাসক অসুস্থ। সে কারণে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ জেলায় ২১৬ জন আক্রান্ত, মৃত্যুবরণ করেছে ১৩ জন। এখানে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।’
জেলার সিভিল সার্জন অসুস্থ হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা বলেন, ‘আমাদের ৩০০ বেডের হাসপাতালে ১৪ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। ৪২ জনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। নারায়ণগঞ্জে যদি একটি পিসিআর ল্যাব থাকত, তাহলে একদিনে রিপোর্ট দেওয়া সম্ভব হতো।’
Advertisement
তিনি দ্রুত একটি পূর্ণাঙ্গ পিসিআর ল্যাব স্থাপন করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানান। পাশাপাশি মাস্ক সংকটের কারণে সেখানে কাজের ক্ষতি হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন। এরপর সেখানে পিসিআর ল্যাব স্থাপন সম্ভব কিনা সেজন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে সংযোগ দেয়া হয়।
মহাপরিচালক বলেন, ‘বাংলাদেশ পিসিআর অ্যাভেলেবল (স্বয়ংসম্পূর্ণ) নয়। এ জন্য অনেক জায়গায় দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে মাস্কের সংকট আজকের মধ্যেই আমরা ব্যবস্থা করব।’
নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুও সেখানে যুক্ত হন। তার বক্তব্য শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তৃণমূল পর্যায়ে যাতে ত্রাণ পায় সে ব্যবস্থা করতে হবে। আমাকে ভোট দিল কে ভোট দিল না এটা বিবেচনা করা যাবে না। এখানে দল দেখার কোনো সুযোগ নেই। একজন মানুষ হিসেবে সে ত্রাণ পাবে।’ তিনি তৃণমূল পর্যায়ে কমিটি করার জন্য রাজনৈতিক নেতাদের নির্দেশ দেন।
এরপর সংযোগ দেয়া হয় মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদারের কাছে। তিনি বলেন, ‘এ জেলায় চারজন মারা গেছে, ১১ জন আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন।’
মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ‘যারা করোনা যুদ্ধে আছেন তারা কেউ মনোবল হারাবেন না কারণ আপনাদের সাথে আমাদের হিমালয় সমতুল্য প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন। ২৫০ বেডের হাসপাতালে বেশকিছু সমস্যা রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে একাধিকবার বলেছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।’
এরপর প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে লম্বা বক্তৃতা দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। লম্বা বক্তৃতা শোনার জন্য বসিনি। মাইক পেলে কেউ ছাড়তে চায় না, এটা কোনো কথা হলো।’
এরপর বক্তব্য রাখেন মুন্সিগঞ্জ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মুন্সিগঞ্জের পুলিশ সুপার। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘রিলিফ (ত্রাণ) বিতরণ করছে প্রশাসন। এখানে আওয়ামী লীগের কেউ জড়িত নয়। অথচ বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণ চুরির নামে বদনাম হচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতাদের।’
তার বক্তব্য শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পার্টি অফিস থেকে আমরা একটা সার্কুলার পাঠিয়েছি। ওয়ার্ড পর্যায়ে আপনারা কমিটি গঠন করবেন। প্রশাসন, পুলিশ আর্মির সঙ্গে সমন্বয় করে আপনারা ত্রাণ বিতরণ করবেন। কোনো গরিব মানুষ যেন ত্রাণ থেকে বঞ্চিত না হয়।’
এরপর মাইক হস্তান্তর করা হয় শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহেরের কাছে। তিনি বলেন, ‘শরীয়তপুরে ইতালি এবং স্পেনফেরত ৬৬৪ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। এর মধ্যে ৬৬২ জন অবমুক্ত হয়েছেন। তাদের কোনো উপসর্গ পাওয়া যায়নি। গতকাল পাঁচজন রোগীকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে। এখানে ত্রাণ বিতরণে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নৌপথে অনেকে ঢোকার চেষ্টা করছেন। কোস্টগার্ডরা যেন এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখেন। নৌপথে নতুন করে কেউ যেন এই জেলায় ঢুকতে না পারে।’ এরপর এখানকার সিভিল সার্জন বক্তব্য রাখেন।
এরপর সংযোগ দেয়া হয় গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক বেগম শাহিদা সুলতানাকে । তিনি বলেন, ‘১৭ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১০ জন পুলিশের সদস্য। আমাদের এখানে কোনো টেস্টের ব্যবস্থা নেই। ঢাকা থেকে টেস্ট করাতে হয়।’ পরে ফরিদপুর থেকে টেস্ট করানোর জন্য নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় তিনি বলেন, ‘গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় করোনা দেখা দেবে এটা ভাবিনি’। বরিশাল থেকে এ জেলায় লোক প্রবেশ বন্ধ করার জন্য তিনি প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। এখানে সিভিল সার্জন ও গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বক্তব্য রাখেন।
করোনা রোগীদের পরীক্ষার ফলাফল পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সব জায়গায় ল্যাব বসানো যায় না। ঢাকা থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অনলাইনে ফলাফল পাঠানো যেতে পারে।’ খুলনা ও বরিশালে পরীক্ষা করানো যায় কি না তা নিয়েও আলোচনা হয়।
সিভিল সার্জন বলেন, ‘খুলনা থেকে ইতিমধ্যে না করে দেয়া হয়েছে। কারণ তাদের চাপ অনেক বেশি’। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর কথা শুনতে চান। সেখান থেকে বলা হয়, ‘দুই-একদিনের মধ্যে ফরিদপুরে ল্যাব বসানোর কাজ হয়ে যাবে। গোপালগঞ্জের মানুষ সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে পারবেন’।
পরে সংযোগ দেয়া হয় ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকারকে। তিনি জেলার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। এখানে একজন ইমাম বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ‘ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা ইমাম কল্যাণ পরিষদ কাজ করছি। রমজানে তারাবির নামাজ ঘরে পড়ার জন্য সাধারণ মুসল্লিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ওয়াক্ত নামাজ ও জুমার নামাজ আমরা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী আদায় করছি’।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবাই মিলে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন, বাংলাদেশ যেন দ্রুত করোনাভাইরাস মুক্ত হয়’। এখানে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, সেনা সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল পারভেজ বক্তব্য রাখেন। প্রধানমন্ত্রী তাদের বক্তব্য শুনে খুশি হয়ে বলেন, ‘আপনারা এ জেলাকে ভালোই রেখেছেন। এখানে মাত্র দুজন আক্রান্ত। আমরা চাই না এটা আর বাড়ুক। বাইরে থেকে কোনো লোক যেন এ জেলায় প্রবেশ না করে।’
এরপরে মাইক হস্তান্তর করা হয় রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক দিলশাদ বেগমকে। তিনি এই জেলার বিস্তারিত কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন। এখানে রাজবাড়ীর মেয়র, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বক্তব্য রাখেন। রাজবাড়ীর মেয়র প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ‘৩২৮টি পৌরসভার আর্থিক অবস্থা ভালো না। আপনি বিভিন্ন জায়গায় প্রণোদনা দিচ্ছেন। পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য কিছু দিলে তারা উপকৃত হবে।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রী রসিকতা করে বলেন, ‘রাজবাড়ী তো রাজার বাড়ি। এখানে তো অভাব থাকার কথা না। এখানে শুধু একজন ফকির আছেন। আপনারা তৃণমূল মানুষের তালিকা তৈরি করুন। তারা যেন খাদ্যে কষ্ট না পায় এ ব্যবস্থা আপনারা করবেন। প্রতিটি গরিব পরিবারকে ত্রাণ পৌঁছে দেবেন’। তিনি এ জেলায় কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখার জন্য নির্দেশনা দেন।
এরপর নরসিংদী জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইনকে সংযোগ দেয়া হয়। তিনি বলেন, ‘এখানে ৪৪ জন আক্রান্ত হয়েছে। তার মধ্যে একজন সুস্থ হয়ে ফিরে গেছেন। বাকি ৪৩ জনের চিকিৎসা চলছে। জেলায় এ পর্যন্ত ৬৬ হাজার ৫৯২ পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ বাজার সৃষ্টি করেছি, যাতে কোনো পরিবারের অসুবিধা না হয়।’
জেলা প্রশাসকের বক্তব্য শোনার পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। এখানে রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। যা হোক রোগীর সংখ্যা যেন আর না বাড়ে। আর বাইরের জেলা থেকে কেউ যেন প্রবেশ না করে সে ব্যবস্থা করবেন।’ এখানকার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি বক্তব্য রাখেন।
সর্বশেষ ঢাকার জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খানকে সংযোগ দেয়া হয়। তিনি ঢাকা জেলার করোনা রোগী, চিকিৎসা ব্যবস্থা, হাসপাতালের অবস্থা, ডাক্তার এবং সহকর্মীসহ সকলের অবস্থার কথা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
জেলার সিভিল সার্জন বলেন, ‘ঢাকায় ৫৩৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। মৃত্যুবরণ করেছে ২৫ জন। পাঁচটি উপজেলার এখনও বেশ কয়েকটি উপজেলার অবস্থা খুব ভালো। ১০টি হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে শুধুমাত্র করোনা রোগের চিকিৎসার জন্য। এ সমস্ত হাসপাতালে করোনা রোগীদের গুরুত্বের সঙ্গে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আগে শোনা যেত শুধু বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে শিশু, তরুণ এবং গর্ভবতী মায়েরা আক্রান্ত হচ্ছেন।’ তিনি চিকিৎসকদের জন্য একটি আইসোলেশন সেন্টার দেয়ার দাবি করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের জন্য তো হোটেল নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানে ডাক্তার এবং নার্সরা থাকতে পারবেন।’ এখানে বিভাগীয় কমিশনার বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের ২০টি জেলা এখনও সুরক্ষিত রয়েছে। যে সমস্ত জেলায় এখনও করোনা মুক্ত আছে সেগুলো যেন করোনা আক্রান্ত করতে না পারে এ জন্য সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।’
এর প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘চিকিৎসার জন্য আমাদের বেশি নজর দিতে হবে। রোগীর সংখ্যা বাড়লে তারা যেন চিকিৎসা পায় সে ব্যবস্থা আমাদের করতে হবে। যারা সদ্য অবসরে গেছে এমন নার্সদেরকে ডেকে এনে ট্রেনিং দিয়ে তাদের কাজে লাগানো যেতে পারে। তাদেরকে ইনসেন্টিভ দেয়া হবে।’
কিছু কিছু শিল্প যেমন ওষুধ উৎপাদনকারী শিল্প, যারা মাস্ক তৈরি করে এ সব গুরুত্বপূর্ণ শিল্প-কারখানা চালু রাখার জন্য শিল্প পুলিশকে নির্দেশ দেন।
এক শিল্প পুলিশ কর্মকর্তা তার বক্তব্যে বলেন, ‘ঢাকায় বেশ কিছু কারখানা আছে যারা সাব-কন্টাক্টে কাজ করে। তারা বেতন দিচ্ছে না এ কারণে কিছু কিছু গার্মেন্টসের শ্রমিকরা এসে আন্দোলন করছে। তারা রাস্তায় নেমে আসছে, এটা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকির।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বেতন না পেয়ে সব রাস্তায় নামবে মিছিল করবে, এটা করলে তো শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করা যাবে না।’
এফএইচএস/এফআর/পিআর