সব গার্মেন্ট শ্রমিকের মার্চ মাসের বেতন-ভাতা ১৬ এপ্রিলের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছিল সরকার। কিন্তু এখনও ৩০ শতাংশ শ্রমিক মার্চ মাসের বেতন-ভাতা পাননি বলে দাবি করেছে শ্রমিক সংগঠনগুলো।
Advertisement
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি থাকলেও তা উপেক্ষা করে বেতনের দাবিতে বেশ কয়েকদিন ধরে রাজপথে আন্দোলনে নামছেন পোশাক শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জাগো নিউজকে বলেন, সব শ্রমিকই বেতন-ভাতা পাবেন। তবে ছোট ফাক্টরিগুলোর ব্যাংকের সাথে অ্যারেঞ্জমেন্টে সমস্য হচ্ছিল, সেটাও ইতোমধ্যে সমাধান হয়েছে। সবার বেতন দিতে আরও চার থেকে পাঁচ দিন সময় লাগবে।
তিনি বলেন, আমিতো শুনেছি ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ শ্রমিকের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে। তারা (মালিকরা) বলছে আর চার-পাঁচ দিনের মধ্যে সবার বেতন দিয়ে দিতে পারবে। পুরোটা বেতন দেয়ার জন্য পোশাক মালিকরা ব্যাংকের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নিচ্ছে।
Advertisement
'মাঝখানে ব্যাংক বন্ধও ছিল, এসব কারণে মালিকরা বলছেন সবার বেতন দিতে চার-পাঁচদিন সময় লাগবে। তবে তারা পুরোটাই শোধ করে দেবেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, গার্মেন্ট শ্রমিকদের ইস্যুটা কিন্তু আমাদের মন্ত্রণালয়ের অধীনে নয়। এটা দেখার কথা পাট ও বস্ত্র এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ের। তবে আমরা চাই সবাই তাদের ন্যায্য বেতন-ভাতা পাক। আমি মালিকদের অনুরোধ করব, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শ্রমিকদের মার্চ মাসের বেতন পরিশোধ করে দেবেন।
এদিকে চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে শ্রমিকদের মার্চের বেতন ১৬ এপ্রিলের মধ্যে পরিশোধ না করলে সংশ্লিষ্ট মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। গত ১৩ এপ্রিল এক বিবৃতিতে তিনি কারখানার মালিকদের বেতন পরিশোধের নির্দেশনা দেন।
প্রতিমন্ত্রী করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতার কথা মাথায় রেখে সরকারি নির্দেশনা মেনে শ্রমিকদের ঘরে থাকার আহ্বান জানান।
Advertisement
এমইউএইচ/জেডএ/পিআর