স্বাস্থ্য

মেডিকেলে অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের হতাশা বাড়ছে

সরকারি মেডিকেলে ভর্তির সময় শেষ হতে বাকি আর মাত্র তিনদিন। তবে ভর্তিতে অর্ধশত আসনও শূন্য নেই। আজ (বুধবার) সকাল পর্যন্ত শূন্য আসনের সংখ্যা ছিল মাত্র ৪৬টি। একই সময় ডেন্টাল কলেজেও শূন্য আসন রয়েছে মাত্র ৫২টি। মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ মিলিয়ে শূন্য আসন রয়েছে মাত্র ৯৮টি। স্বাস্থ্য অধিদফতরের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।এদিকে, সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের মেধাতালিকায় ছয়শ  শিক্ষার্থীকে  অপেক্ষমাণ  রাখা হয়েছে। শূন্য আসন সংখ্যা নগন্য হওয়ায়  হতাশায় ভুগছেন অপেক্ষমাণ তালিকার শিক্ষার্থীরা। ইতিপূর্বে কোনো বছর অল্প সময়ের এত বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারেননি।সূত্র জানায়, আগামী শনিবার পর্যন্ত শূন্য আসনে অনেক শিক্ষার্থীই ভর্তি হতে পারেন। কারণ যেসব আসন এখন পর্যন্ত শূন্য রয়েছে তাদের অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা কোটা ও বিভিন্ন শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেটে ভুলক্রুটির কারণে ভর্তি হতে পারেননি।সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে মোট আসন সংখ্যা তিন হাজার ৬৯৪টি। তন্মধ্যে মেডিকেলে আসন সংখ্যা  তিন হাজার ১৬২ ও ডেন্টালে ৫৩২টি। মোট আসনের মধ্যে ইতোমধ্যেই তিন হাজার ৫৯৬ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন। তন্মধ্যে মেডিকেলে তিন হাজার ১১৬ জন ও ডেন্টালে ৪৮০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন শাখার একাধিক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, চলতি বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার আগে মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ফলে অন্যান্য বছরের চেয়ে ২০ হাজার অতিরিক্ত শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন।তারা আরো জানান, মেডিকেল কলেজে যারা ভর্তির সুযোগ পেয়েছে তাদের অনেকেই পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটে ভর্তি হয়। ঝুঁকি এড়াতে তাদের অনেকে আপাততই ঢাকার বাইরের দূর দূরান্তের মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছেন।   প্রথম ধাপের অপেক্ষমান তালিকা থেকে ভর্তির খুব একটা সুযোগ না পেলেও দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে অনেকেই ভর্তির সুযোগ পায়। নভেম্বর ও ডিসেম্বরের মধ্যে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলেও জানান তারা।নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, গতবছর প্রথম ধাপের অপেক্ষমাণ মেধা তালিকা থেকে সর্বমোট ৪৬০ শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পায়।  উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর চলতি বছরের মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় ৮২ হাজারেরও বেশি পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এদিকে ভর্তির আর মাত্র তিন দিন বাকি থাকলেও ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে পুনরায় পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে আন্দোলন করে আসছে ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা।এমইউ/আরএস/এএইচ/আরআইপি

Advertisement