কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সতর্ক করে বলেছেন, দেশব্যাপী লকডাউন আরও কয়েক সপ্তাহ ধরে চলবে। তার মতে, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও আরও কয়েক সপ্তাহ লকডাউন অব্যাহত রাখতে হবে।
Advertisement
সম্প্রতি তার স্ত্রী সোফি গ্রেগৈরি করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সোফির শরীরে করোনা ধরা পড়ার পরপরই সেলফ আইসোলেশনে চলে যান ট্রুডো। শুধু ট্রুডো নন, তাদের পরিবারের সব সদস্যই সেলফ আইসোলেশনে ছিল।
এদিকে, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিদিনই জনগণের উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন ট্রুডো। দেশব্যাপী করোনা পরিস্থিতিতে জনগণকে সাহস দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। একই সঙ্গে তার সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরছেন।
ওত্তাওয়া থেকে প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন ট্রুডো। বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে তিনি জনগণের উদ্দেশে বলেন, আমরা যদি খুব দ্রুত লকডাউন খুলে দেই তবে আমরা এখন যা কিছু করছি তা কোনো কাজেই আসবে না।
Advertisement
কানাডায় এখন পর্যন্ত মোট ২৮ হাজার ৩৭৯ জন প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। অপরদিকে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১ হাজার ১০ জন।
ইতোমধ্যেই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৮ হাজার ৯৭৯ জন। তবে ৫৫৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলো করোনা পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। এসব দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছেই।
তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের তুলনায় কানাডায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কম। প্রথম থেকেই করোনা পরিস্থিতিকে বেশ গুরুত্ব দিয়ে আসছে কানাডা।
Advertisement
তবে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কম থাকলেও খুব দ্রুত সব কিছু চালু করতে রাজি নন ট্রুডো। তার মতে যে কোনো সময় লকডাউন তুলে দেওয়া হবে না, আগামী ১ মে'র আগেতো নয়ই।
টিটিএন/জেআইএম