দেশে আরও একটি টিভি চ্যানেলের চারজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বুধবার সেখানে কর্মরত একজন রিপোর্টার, একজন নিউজ এডিটর, দুজন প্রডিউসারের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে।
Advertisement
এর আগে বিকেলে দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের জেনারেল সেকশনের এক কর্মকর্তা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ জন্য সংশ্লিষ্ট চ্যানেলের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাসহ ১৫ জনের বেশি কর্মীকে কোয়ারেইন্টাইনে পাঠানা হয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে কর্মরত আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১৩।
মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) একটি বেসরকারি টেলিভিশনের গাজীপুর প্রতিনিধির করোনা আক্রান্ত খবর পাওয়া গেছে। এর আগের দিন সোমবার দেশের আরও একজন সাংবাদিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি আরেকটি বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি।
এর আগে বেসরকারি টিভি ছাড়াও কয়েকটি দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিক করোনায় আক্রান্ত হন। আক্রান্ত সংবাদকর্মীরা কেউ বাড়িতে এবং হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এরা সংক্রমিত হওয়ায় আইইডিসিআরের পরামর্শে শতাধিক সাংবাদিক-কর্মচারীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে একটি টেলিভিশনের ৪৭ সংবাদকর্মীর কোয়ারেন্টাইন শেষ হয়েছে। এ সময়ে তাদের কারও মধ্যে কোনো উপসর্গ মেলেনি।
Advertisement
করোনা আক্রান্তের এ সংখ্যা বাংলাদেশের গণমাধ্যমের জন্য অশনিসংকেত বলছেন সংশ্লিষ্টরা। গণমাধ্যমকর্মীদের অভিযোগ, সাংবাদিকদের স্ব স্ব মিডিয়া হাউজ থেকে স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী না দিয়েই অ্যাসাইনমেন্টে পাঠানো হচ্ছে। সাংবাদিকদের এমন চলাফেরা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক নেতারা।
এইচএস/বিএ