করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে বরিশাল জেলা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় ও ঘরে অবস্থান নিশ্চিতে বরিশাল নগরীসহ জেলার সর্বত্র টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ।
Advertisement
কেউ ঘর থেকে বের হলে পুলিশের জেরার মুখে পড়তে হয়। ওষুধের দোকান এবং কাঁচাবাজার ছাড়া বন্ধ সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। কার্যত করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বরিশাল স্থবির। এজন্য বিপুল পরিমাণে মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।
একই অবস্থা নগরীতেও। উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে নগরীতে হাজার হাজার খেটে খাওয়া মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। খাবার ফুরিয়ে গেছে অনেকের ঘরে।
এ অবস্থায় বুধবার দুপুরে নগরীর ১ নম্বর ওয়ার্ডে ত্রাণের দাবিতে কর্মহীন দরিদ্র ও নিম্নআয়ের পাঁচ শতাধিক নারী-পুরুষ ঘর রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। ত্রাণ না পেয়ে বিসিক শিল্পনগরী সংলগ্ন সড়কে বিক্ষোভ করেন তারা। প্রায় দেড় ঘণ্টা কাউনিয়া বিসিক সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে খাদ্য সহায়তার আশ্বাস দিলে ঘরে ফিরে যান তারা।
Advertisement
বিক্ষোভকারীরা জানান, কাজ না থাকায় ঘরে ঘরে অর্থের অভাব দেখা দিয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলর আমির হোসেন বিশ্বাস ত্রাণের স্লিপ দেয়ার নামে নিজের লোকদের ত্রাণ দিচ্ছেন। এ কারণে পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে জীবনযাপন করছেন তারা। প্রশাসনের মাধমে ত্রাণের ব্যবস্থা না করা হলে দরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষ বঞ্চিত হবেন। তাই তারা প্রশাসনের মাধমে ত্রাণ বণ্টনের দাবি জানিয়েছেন।
পরে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউনিয়া থানা পুলিশের ওসি আজিমুল করিম ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের শান্ত করেন। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ত্রাণের ব্যবস্থা করা হবে। এমন আশ্বাস পেয়ে পাঁচ শতাধিক নারী-পুরুষ ঘরে ফিরে যান।
নগরীর ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আমির হোসেন বিশ্বাস বলেন, আমার এলাকায় সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়েছে। ওয়ার্ডে নিম্নআয়ের মানুষ বেশি হওয়ায় সবাইকে ত্রাণ দিতে পারিনি। নতুন তালিকা করে ত্রাণের ব্যবস্থা করা হবে।
সাইফ আমীন/এএম/এমএস
Advertisement