টাঙ্গাইলে নতুন করে আরও ২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ভূঞাপুর উপজেলায় একজন এবং নাগরপুর উপজেলায় রয়েছেন একজন। এ নিয়ে জেলায় মোট ৯ জনের দেহে করোনার ভাইরাস শনাক্ত হলো।
Advertisement
বুধবার টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নাগরপুরে নতুন করে আরও একজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত যুবকের নাম মোহাম্মদ আলী (২২)।তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের পানান গ্রামের ছবেদ আলীর ছেলে। এ নিয়ে নাগরপুর উপজেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২ জন।
মঙ্গলবার রাতে শনাক্ত হওয়া করোনা আক্রান্ত যুবককে তার বাড়িতে আলাদা করে এক ঘরে রেখে আশপাশের ৩০ বাড়ি লকডাইন করেছে উপজেলা প্রশাসন। বুধবার সকালে তাকে চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে পাঠানো হয়।
Advertisement
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, ১২ এপ্রিল প্রথম রোগী লিটন শনাক্ত হওয়ার পর লিটনের সংস্পর্শে যারা এসেছিল তাদেরসহ ৩০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআর এ পাঠানো হয়। এর মধ্যে মোহাম্মদ আলীর দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
জানা যায়, এর আগে আক্রান্ত উপজেলার খাগুরিয়া গ্রামের লিটন মিয়া নতুন আক্রান্ত মোহাম্মদ আলী একত্রে ঢাকায় থাকতেন এবং তারা দুইজন ব্যবসায়ীক পার্টনার। তারা ঢাকার বাদামতলীতে ফলের ব্যবসা করেন। গত ৮ এপ্রিল জ্বর ঠাণ্ডার উপসর্গ নিয়ে তারা নাগরপুর উপজেলায় তাদের বাড়িতে আসেন। স্থানীয় লোকজন লিটনের বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খবর দিলে তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠালে লিটনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। পরপর দুইজন করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
অপরদিকে গতকাল মঙ্গলবার করোনা শনাক্ত হওয়া আবু সাইদ (২৫) ভুঞাপুরে উপজেলার জিগাতলা গ্রামের আব্দুল বাছেদের ছেলে। তিনি ঢাকায় কর্মরত ছিলেন বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাহিউদ্দিন আহম্মেদ। বর্তমানে তিনি চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসাধীন বলেও জানান তিনি।
করোনা শনাক্তের তথ্য পেয়ে পরে সেই বাড়িটি লকডাউন করে উপজেলা প্রশাসন।
Advertisement
আরিফ উর রহমান টগর/এমএএস/এমএস