জরুরি অবস্থার কঠোর প্রয়োগ ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়া হলে করোনাভাইরাস দেশের চার লাখ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিতে পারে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অপ্রকাশিত এক পূর্বাভাস গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর জাপান সরকার সকলকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
Advertisement
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাপানের স্থানীয় গণমাধ্যমে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি সূত্রের বরাতে জানানো হয়েছে, দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমানে শঙ্কা করা হচ্ছে, নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগে দেশে চার লাখ পর্যন্ত মানুষ প্রাণ হারাতে পারে।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অপ্রকাশিত ওই পূর্বানুমানে আরও শঙ্কা করা হচ্ছে, এছাড়া যারা করোনায় আক্রান্ত হবেন তাদের মধ্যে ৮ লাখ ৫০ হাজারের বেশি মানুষের জন্য কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রয়োজন (ভেন্টিলেটর) পড়বে; অবস্থা গুরতর হলেই রোগীদের জন্য ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা করতে হয়।
জাপানে প্রথম দফায় সংক্রমণ শুরু হয়ে আতঙ্ক তৈরি হলেও তা পরে কমে। কিন্তু সম্প্রতি দেশটিতে নতুন করে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে। উপসর্গ দেখা দিয়েছে শুধু এমন মানুষের পরীক্ষা করানো জাপানে এখন পর্যন্ত ৮ হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে; এরমধ্যে প্রায় দুইশ জন মারা গেছে।
Advertisement
সম্প্রতি জাপানে করোনা আক্রান্ত যেসব রোগী শনাক্ত করা হয়েছে তার বেশিরভাগই রাজধানী টোকিওতে। এর প্রেক্ষিতে দেশটির সরকার টোকিও ছাড়াও আরও ছয়টি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করেছে। এরমধ্যে ওসাকাও রয়েছে। এতে করে দেশটির ৭০ শতাংশ মানুষের মিথষ্ক্রিয়া বন্ধের লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ।
কিন্তু জাপানে জরুরি অবস্থার পর কিংবা আগের মধ্যে কোনো পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। দিনের কর্মঘণ্টা কমানো হলেও যানবাহন, অফিস-আদালত, বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চলছে আগের মতোই। ট্রেন স্টেশন, বাসস্ট্যান্ডে আগের চেয়ে কিছু যাত্রী কমলেও ভিড় কমেনি।
সাতটি প্রদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার পর থেকে কেন্দ্রীয় সরকার এই নির্দেশনা প্রয়োগের দায়িত্ব দিয়েছিল স্থানীয় গর্ভনরদের। কিন্তু গত কয়েকদিনে দেশটির গণমাধ্যমে জরুরি অবস্থা না মানার কঠোর সমালোচনা এসেছে। মানুষজনকে গৃহমুখী করতে স্থানীয় প্রশাসন ব্যর্থ হচ্ছেন বলে মনে করছেন অনেকে।
এসএ
Advertisement