মালয়েশিয়ায় চলাচল নিয়ন্ত্রণ আদেশ (এমসিও) লঙ্ঘন করায় ১৪ হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে বুকিত আমান সিআইডি পরিচালক দাতুক হুজির মোহাম্মদ বলেছেন, ‘এমসিও লঙ্ঘনের দায়ে ১৮ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিলের মধ্যে ১৪ হাজার ৯২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
Advertisement
বুধবার (১৫ এপ্রিল) থেকে শুরু হওয়া তৃতীয় পর্বে পুলিশ কোনো আপস করবে না বলেও জানান তিনি।
তিনি জানান, প্রথম ধাপে মোট ৩ হাজার ৬২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৭ হাজার ৬৬৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। কঠোর ব্যবস্থা নেয়া সত্ত্বেও অনেকে তা মানছেন না।
হুজির বলেছেন, ‘এর মধ্যে ৫ হাজার ৮৩০ জনকে আদালতে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তৃতীয় ধাপে গ্রেফতার হওয়া সবাইকে আদালতে অভিযুক্ত করা হবে। এমসিও লঙ্ঘন করা কোনো ছোট অপরাধ নয়। প্রত্যেকে যদি এটি মেনে না চলেন, তবে এটি দেশের জন্য একটি বড় বিপর্যয় হয়ে উঠবে।’
Advertisement
এদিকে বুধবার থেকে কন্ট্রোল অর্ডার অমান্যকারীদের রিমান্ডে নেয়ার পর সোজা আদালতে সোপর্দ করবে পুলিশ। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব এ ঘোষণা দিয়েছেন।
এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী ইসমাইল বলেন, ‘নতুন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অনেকে লকডাউন অমান্য করছেন দেখে এমন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে সরকার।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখছি, লোকজন এমন আচরণ করছে যেন তারা আইনের তোয়াক্কা কিংবা ভয় করছে না। তাদের ভয় পাওয়ার জন্য এক হাজার রিঙ্গিত (মালয়েশিয়ান মুদ্রা) খুব বেশি মনে হচ্ছে না। তারা প্রতিনিয়ত চলাচলের নির্দেশনা (এমসিও) লঙ্ঘন করছেন।’
প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘এরকম পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, পুলিশ বুধবার থেকে আর সতর্ক করবে না। যারা এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করবে তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে আদালতে সোপর্দ করবে পুলিশ।’
Advertisement
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানান, এরপর আদালত তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। কারণ ৩৪২ নম্বর আইনের ২৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, আদালত তাদের দুই বছরের কারাদণ্ড এবং পরবর্তী অপরাধের জন্য পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিতে পারবে।
মালয়েশিয়ায় গত ১৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া লকডাউন মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার সংক্রমণ চলমান থাকায় এর সময়সীমা আরও দুই সপ্তাহ বাড়িয়ে আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত করেছে দেশটির সরকার।
এফআর/পিআর