মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতারকৃত (ময়মনসিংহ-৭) ত্রিশালের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এমএ হান্নানসহ চারজনকে সেফহোমে জিজ্ঞাসা করার অনুমতি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। প্রসিকিউশন ও তদন্ত সংস্থার সুবিধা মতো সময়ে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করতে পারবেন। বুধবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আনোয়ারুর হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। আদালতে শুনানি করেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন।হান্নান ব্যাতীত অন্য তিন আসমারা হলেন- এমপি হান্নানের ছেলে রফিক সাজ্জাদ এবং ডা. খন্দকার গোলাম সাব্বির ও মিজানুর রহমান মিন্টু।মামলায় মোট আট আসামির মধ্যে গ্রেফতার চারজনকে সেফহোমে নিয়ে অধিক তথ্য জানার জন্য জিজ্ঞাসার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন। আবেদন গ্রহণ করে শুনানি শেষে আদালত এই আদেশ দেন। গ্রেফতার অপর এক আসামি হরমুজ আলী দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গ্রেফতার না হওয়া অন্য তিন আসামিদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি বলে জানান প্রসিকিউশন। আসামীদের বিরুদ্ধে আগামী ১৭ নভেম্বর তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য আছে।গত ১ অক্টোবর প্রসিকিউশনের আবেদনক্রমে এ মামলার আট আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। পরে ওই দিনই ঢাকায় গ্রেফতার হন এম এ হান্নান ও তার ছেলে রফিক সাজ্জাদ। ময়মনসিংহ সদর ও ত্রিশাল থেকে গ্রেফতার করা হয় বাকি তিনজনকে।গত ১৯ মে এমপি হান্নানসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন। আসামিদের বিরুদ্ধে গত ২৮ জুলাই থেকে তদন্ত চলছে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এমএ হান্নান ময়মনসিংহ জেলা শান্তি কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ফকরুজ্জামান ও গোলাম রব্বানি তার সদস্য হিসেবে হান্নানের সহযোগী ছিলেন।আসামিরা ময়মনসিংহ অঞ্চলে গণহত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগসহ ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে।এফএইচ/এএইচ/পিআর
Advertisement