করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মৃত্যুর লিস্ট প্রতিদিন দীর্ঘ হচ্ছে। এতে কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোকে স্তব্ধ কমিউনিটিতে নতুন করে আ্রক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।
Advertisement
গত ১২ এপ্রিল পর্যন্ত দেশটিতে মোট ১২২ জন বাংলাদেশি এ ভাইরাসে মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়। তবে এখন পর্যন্ত এ সংখ্যা ৩০০ এর কাছাকাছি হবে বলে অনেকে বলছেন।
করোনাভাইরাসের কড়াল গ্রাসে হারিয়ে যাওয়া কিছু প্রবাসী বাংলাদেশির (বেশিরভাগ নিউইয়র্কের) ছবি এখানে প্রকাশ করা হলো।
জানা গেছে, নিউইয়র্ক শহরেই করোনাভাইরাসে বেশি বাংলাদেশির মৃত্যু হচ্ছে। সেখানে মৃতদের কয়েকজন হলেন- পুলিশের ক্যাপ্টেন খন্দকার আব্দুল্লাহর বাবা খন্দকার সাদেক, নিউইয়র্ক ট্রাফিক পুলিশের সদস্য জয়দেব সরকার (৫৫), শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কর্মকর্তা খন্দকার মোসাদ্দেক আলী, আসাদুজ্জামান লালা, দেওয়ান আফজাল চৌধুরী, শারমীন আহমেদ চৌধুরী নীলা (৫২), ষাটোর্ধ্ব আজিজুন্নেসা।
Advertisement
নিউইয়র্কের আপস্টেট বাফেলো সিটিতে মারা যাওয়া কয়েকজন হলেন- মোহাম্মদ জাকির (৩৮) ও সামসুস জহির (৪০)। অপরদিকে নিউইয়র্ক সিটির পাশের শহর লং আইল্যান্ডের বাসিন্দা সিলেটের একটি চা বাগানের সাবেক জেনারেল ম্যানেজার এ জামান (৭০) করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। আর নিউইয়র্কের বাইরে মেরিল্যান্ডে প্রথম করোনায় মারা যান এক বাংলাদেশি চিকিৎসক। তার নাম ডা. আব্দুল মান্নান (৮০)।
নিউইয়র্কের এলমহার্স্ট হাসপাতালে নিজের কাজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে এক বাংলাদেশি বলেন, হাসপাতালটিতে এখন যত রোগী ভর্তি আছে, তার ৯৫ শতাংশই হচ্ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। প্রচুর রোগী মারা যাচ্ছে সেখানে। হাসপাতালটির চারপাশে প্রায় ১০ মাইল ব্যাসার্ধের এলাকার অধিকাংশই অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ। বেশিরভাগ অভিবাসী সম্প্রদায়ের। তাদের জীবনযাপন বা চলাফেরা স্বাস্থ্যসম্মত নয়।
শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ বিপর্যয় মহামারি করোনাভাইরোসে যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা এখন ৬ লাখ ১৩ হাজার ৮৮৮। মৃতের সংখ্যা ২৬ হাজার ৪৭ জন।
জেডএ/জেআইএম
Advertisement