আন্তর্জাতিক

ইকুয়েডরে যেখানে সেখানে লাশ, ৩ সপ্তাহে উদ্ধার ১৪০২

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরে যেখানে সেখানে পড়ে আছে কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) আক্রান্তের লাশ। এসব লাশ উদ্ধারে হিমশিম খাচ্ছে সেখানকার জরুরি সেবা ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া প্রতিষ্ঠান এবং হাসপাতালগুলো।

Advertisement

ইকুয়েডর পুলিশ জানিয়েছে, দেশটির মহামারির উপকেন্দ্র গুয়াকুইল শহর থেকে গত তিন সপ্তাহে অন্তত ১ হাজার ৪০২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৭৭১টি ও হাসপাতাল থেকে ৬৩১টি।

উদ্ধার টিমের প্রধান জর্জ ওয়েটেড জানান, আমরা টাস্কফোর্সকে সঙ্গে নিয়ে বাসা থেকে যেসব মরদেহ উদ্ধার করেছি তার সংখ্যা সাতশ ছাড়িয়ে গেছে।

রোববার এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, গত তিন সপ্তাহে আমরা বাসাবাড়ি থেকে ৭৭১টি ও হাসপাতাল থেকে ৬৩১টি মরদেহ উদ্ধার করেছি। ইতোমধ্যে তাদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তবে এসব ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ জানাননি তিনি।

Advertisement

ইকুয়েডরে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয় গত ২৯ ফেব্রুয়ারি। দেশটিতে এ পর্যন্ত ৭ হাজার ৫০০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

কোভিভ-১৯ সংক্রমণ এড়াতে কারফিউ জারি করেছে ইকুয়েডর সরকার। প্রতিদিন ১৫ ঘণ্টা বলবৎ থাকছে এই নিষেধাজ্ঞা।

দেশটির সরকারের দেয়া তথ্য বলছে, সেখানকার মোট আক্রান্তের ৭০ শতাংশের বেশি গুয়াকুইল শহরের অধিবাসী। গুয়াসেসের উপকূলীয় এই শহরটিতে এ পর্যন্ত ৪ হাজার জনের মতো আক্রান্ত হয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, শহরটির যেখানে সেখানে পড়ে আছে অসংখ্য মরদেহ। এসব মরদেহ সৎকারে সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন গুয়াকুইল শহরের অধিবাসীরা।

Advertisement

চলতি মাসের শুরুতে উদ্ধারকারী টিমের প্রধান ওয়েটেড বলেন, ‘স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, দুর্ভাগ্যবশত সামনের মাসগুলোতে এই শহরটিতে কোভিড-১৯-এ মৃতের সংখ্যা আড়াই হাজার ছাড়িয়ে যাবে।’

সূত্র : আল-জাজিরা

এসআর/জেআইএম