অসহায় মানুষের ত্রাণ আত্মসাতের অভিযোগের কলঙ্ক থেকে মুক্তি চেয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের বহিষ্কৃত এক সদস্য (মেম্বার)।
Advertisement
তিনি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বহিষ্কৃত সদস্য মো. কবির হোসেন। ত্রাণ আত্মসাতের বিষয়টি নিরপেক্ষভাবে তদন্তের দাবি জানান তিনি।
মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে সোনারগাঁ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ত্রাণ আত্মসাতের অভিযোগের কলঙ্ক থেকে মুক্তি চান কবির হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ত্রাণ আত্মসাতের অভিযোগে সাময়িকভাবে আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সরকার থেকে চার দফায় আমার কাছে ৫৪ জনের ত্রাণসামগ্রী এসেছে। এগুলো দেয়ার পরও আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে পাঁচ শতাধিক পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী দিয়েছি। ত্রাণ দেয়া ব্যক্তিদের তালিকা আমার কাছে রয়েছে। এতে রয়েছে তাদের মোবাইল নম্বর। বিষয়টি নিরপেক্ষভাবে তদন্তের দাবি জানাই আমি। আমি ত্রাণ চুরি করিনি; সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আমাকে এই কলঙ্ক থেকে মুক্তি দেয়া হোক। আমি এই কলঙ্ক থেকে মুক্তি চাই।
Advertisement
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- কবির হোসেনের ছোট ভাই আব্দুল করিম ও ভাগিনা মো. সাইফুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক আদেশে পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. কবির হোসেন বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কারাদেশে উল্লেখ করা হয়, ‘করোনাভাইরাসের দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকার প্রদত্ত ত্রাণ বিতরণ না করে আত্মসাৎ করায় আপনাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হলো।
শাহাদাত হোসেন/এএম/এমআরএম
Advertisement