দেশজুড়ে

খাবার না পেয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীর বিক্ষোভ

প্রধানমন্ত্রী এত খাদ্য সহযোগিতা দিচ্ছে সেগুলো কোথায় যাচ্ছে। আমাদের এলাকায় প্রায় ২০০ পরিবার। কোনো পরিবারই সরকারি কোনো সহযোগিতা পায়নি। আমরা খাব কি? চেয়ারম্যান দুর্নীতি ও অনিয়ম করছে, এসব দেখবে কে?

Advertisement

এমন সব অভিযোগ নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করেছেন সাতক্ষীরার তালা সদরের উত্তর আলাদিপুর গ্রামের শত শত মানুষ।

গ্রামবাসী অভিযোগ করে বলেন, চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন আগে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেয়ার নাম করে ২০-২৫ হাজার টাকা করে উত্তোলন করেছে। জনগণের কাছ থেকে সব চুষে খাচ্ছে। এখন মহাদুর্যোগের সময় সরকারি কোনো সহযোগিতা দিচ্ছে না। আমরা চেয়ারম্যানের কাছে সহযোগিতা চাই না। প্রধানমন্ত্রী যা দিচ্ছে সেটা চাই।

আলাদিপুর গ্রামের রাশিদা বেগম বলেন, কারও ঘরে কোনো খাবার নেই। পুরুষ মানুষগুলো কাজ করতে পারছে না। চেয়ারম্যান তালিকা নিয়ে কোনো সহযোগিতা করছে না। একই গ্রামের খায়রুল ইসলাম জানান, দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান সরদার জাকির দুর্নীতি করবে। প্রধানমন্ত্রী যে সহযোগিতা দিচ্ছে আমরা সেটা চাই, চেয়ারম্যানে সহযোগিতা আমরা চাই না। দিনমজুর ১৮২টি পরিবার আমাদের উত্তর আলাদিপুর গ্রামে। এখানে কেউ সহযোগিতা পায় না। তাহলে চেয়ারম্যান-মেম্বর কাদের সহযোগিতা দেয়?

Advertisement

একই গ্রামের তানজিলা বেগম বলেন, খেটে খাওয়া মানুষের ঘরে খাবার নেই। তালিকা করে নিয়ে গেছেন চেয়ারম্যান। অথচ কোনো সহায়তা নেই। অন্যদের দিচ্ছে। আমাদের দিচ্ছে না। ত্রাণ চুরি করছে।

এসব ঘটনার বিষয়ে তালা সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ওয়ার্ডের মধ্যে চেয়ারম্যান কাদের চাল দিয়েছেন আমার জানা নেই। আমি এখনও একজনকেও দিতে পারিনি। আজ (মঙ্গলবার) পরিষদে গিয়ে দেখেছিলাম ৮-১০ প্যাকেট চাল রয়েছে ১০ কেজির প্যাকেট। সেটিও কাদের জন্য আমি বলতে পারবো না। রাস্তায় এলাকাবাসীর বিক্ষোভের বিষয়টি তার জানা নেই বলে জানান এই ইউপি সদস্য। ঘটনার বিষয়ে তালা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, এলাকায় বিক্ষোভের কোনো ঘটনায় ঘটেনি। আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। সাড়ে তিন টন চাল পেয়েছি। সাড়ে তিনশ পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে সব বিতরণ করা হয়েছে।

এলাকাবাসীর বিক্ষোভের বিষয়ে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইকবাল হোসেন বলেন, একটা গ্রামে একজনও পায়নি এটা হতে পারে না। ইতোমধ্যে সাড়ে তিন টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। একটি ওয়ার্ডে কমপক্ষে ৩০-৪০ জন করে সরকারি সহযোগিতা পাওয়ার কথা। তিনি বলেন, একটি গ্রামে কেউ পায়নি এটা হবে কেন। বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখব।

আকরামুল ইসলাম/এমএএস/এমআরএম

Advertisement