করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় বসেছে হাট। এই হাট ব্যবস্থাপনাকে ‘মডেল’ হিসেবে গ্রহণ করে দেশের বিভিন্ন জেলায় হাট বসানো যেতে পারে। খোলা মাঠে বৃত্ত এঁকে হাট বসালে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে।
Advertisement
মুজিবনগরের খোলা মাঠে বসা হাটের একটি বৃত্তে একজন বিক্রেতা একজন ক্রেতা রয়েছেন। এতে সামাজিক দূরত্বের সঙ্গে সঙ্গে হাটে জনসমাগমও কম হয়। ৬ এপ্রিল থেকে করোনার সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বসছে এই হাট।
মুজিবনগর উপজেলার কেদারগঞ্জ বাজার, আনন্দবাস, দারিয়াপুর, ভবরপাড়া, বাগোয়ান, মহাজনপুর, শিবপুর, মোনাখালী ও পুরন্দরপুরসহ সব গ্রামে নির্ধারিত দূরত্ব বজায় রেখে বৃত্ত এঁকে হাট বসানো হয়েছে। এক বৃত্তে থেকে আরেক বৃত্তের দূরত্ব ১০ ফুট। এক লাইন থেকে আরেক লাইনের দূরত্ব ১৫ ফুট।
প্রতিটি বৃত্তের ভেতরে একটি করে দোকান। আর প্রত্যেক লাইনের শুরুতে একটি করে ট্যাগ লাগিয়ে রাখা হয়েছে। এই ট্যাগ দেখে খুব সহজেই ক্রেতা বুঝতে পারবেন কোন লাইনে গিয়ে কি পণ্যের দোকান আছে। একজন ক্রেতা পুরো হাট না ঘুরে এই ট্যাগ দেখে নির্দিষ্ট লাইনের দোকান থেকে প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারবেন।
Advertisement
এই হাট ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নিয়েছেন মুজিবনগরের ইউএনও। এতে ৩০০ স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে নানাভাবে সহযোগিতা করছেন তারা। প্রতিটি হাটে ক্রেতা-বিক্রেতারা যাতে হাত ধুয়ে বাজার করতে পারেন সেজন্য বসানো হয়েছে বেসিন।
মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উসমান গণি বলেন, যতদিন করোনার সংক্রমণ বন্ধ না হবে ততদিন মুজিবনগর উপজেলার সব হাট এই পদ্ধতিতে বসানো হবে। নির্দিষ্ট রেখায় দাঁড়িয়ে একজন ক্রেতা পণ্য কেনার পর আরেকজন ক্রেতা সেখানে যাবেন। এতে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকবে। একই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে উপজেলার সব হাটবাজারে।
আসিফ ইকবাল/এএম/এমএস
Advertisement