একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানার পাঁচ জন আসামির বিরুদ্ধে ৩টি অভিযোগ আমলে নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৪ নভেম্বর দিন ঠিক করেন। বুধবার পাঁচজন আসামির মধ্যে গ্রেফতার চার জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।বুধবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ আমলে নিয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করে আদেশ দেন। আদালতের শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম, সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর তাপস কান্তি বল। উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন ও মোখলেসুর রহমান বাদল। অপরদিকে আসামি পক্ষে ছিলেন মোহাম্মদ শিশির মুনির ও তরিকুল ইসলাম। প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম জাগো নিউজকে বলেন, আজ পাঁচ জনের অভিযোগ আমলে নিয়ে আগামী ২৪ নভেম্বর মামলার পারবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেছেন আদালত। তার আগে আব্দুল কুদ্দুসের জামিন আবেদন শুনানি হয়। আদালতে আব্দুল কুদ্দুসের জামিন আবেদন করেন আইনজীবী তারিকুল ইসলাম।এ মামলায় ট্রাইব্যুনালের আদেশে এখন পর্যন্ত কারাগারে আছেন- আমীর আহম্মেদ ওরফে আমীর আলী, মো. ইউসুফ, মো. জয়নাল আবেদীন ও মো. আব্দুল কুদ্দুস। অপরদিকে এ মামলায় এখনো গ্রেফতার করা যায়নি আবুল কালাম ওরফে একেএম মনসুর।নোয়াখালীতে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত এই পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে গত বছরের ১৬ নভেম্বর তদন্ত শুরু হয়ে গত ৩১ আগস্ট শেষ হয়। ওই দিনই তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনের কাছে জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা।আসামিদের বিরুদ্ধে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে নোয়াখালীর সুধারাম থানায় একশত ১১ জনকে গণহত্যাসহ তিনটি অভিযোগ রয়েছে।প্রসিকিউশনের আনা অভিযোগে বলা হয়, একাত্তরের ১৫ জুন নোয়াখালীর সুধারামে ৪১ জনসহ শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যা-গণহত্যায় নেতৃত্ব দেন পাঁচ আসামি।এছাড়াও একাত্তরের ১৩ সেপ্টেম্বর ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত হত্যা-গণহত্যায় নেতৃত্ব দেন আমির আহম্মেদ ওরফে রাজাকার আমির আলী, আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুর ও মো. জয়নাল আবেদিন।তৃতীয় অভিযোগে বলা হয়, একাত্তরের ১৩ সেপ্টেম্বর ভোর সাড়ে ছয়টা থেকে বেলা সাড়ে এগারটা পর্যন্ত ৯ জনকে হত্যা-গণহত্যায় নেতৃত্ব দেন আমির আহম্মেদ ওরফে রাজাকার আমির আলী, আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুর ও মো. ইউসুফ। তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আমির আহম্মেদ ওরফে রাজাকার আমির আলী ও আবুল কালাম ওরফে একেএম মনসুর সকল অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মো. ইউসুফ ও মো. জয়নাল আবেদিন দুটি এবং মো. আব্দুল কুদ্দুস একটি ঘটনায় জড়িত ছিলেন।এফএইচ/এসএইচএস/পিআর
Advertisement