‘আমি মারা যাই, তাতে সমস্যা নেই। কিন্তু পরিবারের কেউ যেন আমার দ্বারা আক্রান্ত না হয়। সেই কারণেই বিদেশ থেকে বাড়িতে এসেই টানা ২০ দিন কোয়ারেন্টাইনে ছিলাম। পরে টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরে যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। বন্দি জীবন ছেড়ে আজ মনে হচ্ছে আমি মুক্ত’।
Advertisement
কথাগুলো যেন এক নিশ্বাসে বলে ফেললেন মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার মুজদিয়া গ্রামের স্বরজিত বিশ্বাস (৩৪)। জানা গেছে, করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে মুজদিয়া গ্রামের মৃত প্রফুল বিশ্বাসের ছেলে স্বরজিত বিশ্বাস গত ১৭ মার্চ সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরে আসেন। নিজ গরজেই তিনি টানা ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকেন।
এ সময়ে তিনি মাঝে মাঝে কাশি ও শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন। করোনা হয়েছে কিনা? সে ধরনের দুর্চিন্তা থেকেই তিনি শ্রীপুর উপজেলা ও মাগুরা জেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যোগাযোগ করেন। এরপর গত ৪ এপ্রিল শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি মেডিকেল টিম তার নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য ঢাকা আইইডিসিআর-এ প্রেরণ করেন।
অবশেষে প্রতীক্ষার পর টেস্ট রিপোর্টে ফলাফল নেগেটিভ এসেছে বলে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান (ইউ.এইচ.এফ.পি.ও) ডা. রইসুজ্জামান জানান। এতে টানা ২০ দিনের কোয়ারেইন্টাইন শেষ হয় স্বরজিত বিশ্বাসের।
Advertisement
পরীক্ষার ফল হাতে পাবার পরে স্বরজিত বিশ্বাস বলেন, গত ২৩টি দিন কীভাবে যে কাটিয়েছি- তা ভাবার নয়। পরীক্ষার ফল নেগেটিভ জানার পরেই তিনি নিজের সন্তানকে কাছে নিয়েছেন বলে তিনি জানান।
মো. আরাফাত হোসেন/এমআরএম