স্পেনে রাষ্ট্রীয় সতর্কতা জারির একমাস পূর্ণ হলো। এই এক মাস ধরে পুরো স্পেন কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে আছে। কোভিড-১৯ মহামারি চীনের উহান থেকে ইতালি হয়ে খুব অল্প সময়ে ধেয়ে আসে স্পেনে। বর্তমানে স্পেন এই মহামারিতে আক্রান্তের সংখ্যায় পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। গত ১৩ মার্চ স্পেনের সরকার বিশেষ অধ্যাদেশের মাধ্যমে দেশটিতে স্টেট অব অ্যালার্ট জারি করে। এতে মানুষ ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে।
Advertisement
এই মহামারিকে মোকাবিলা করার জন্য গত চার সপ্তাহ ধরে মানুষ বাসা থেকে বের হচ্ছেন না। এই অবরুদ্ধ অবস্থা মানুষের পরিচিত জীবনযাত্রাকে আমূল পাল্টে দিয়েছে। ঘর থেবে বের না হওয়া ছাড়াও আরও বেশকিছু বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটির সরকার। এই এক মাস করোনাভাইসের সঙ্গে যুদ্ধে বাস্তব জীবনের প্রতিফলন অকল্পনীয়। রাস্তা-ঘাট জনশূন্য, শুধু জানালা দিয়ে বাহিরটা দেখার সুযোগ পাওয়া যায়। নতুন সংক্রমণের ভয়ে দেশের সীমানা বন্ধ। বিবাহ, জন্মদিন, ভ্রমণ স্থগিত।
প্রতিদিন ব্যালকনি দিয়ে সন্ধ্যা ৮টায় মানুষ নতুন আশার হাততালি বাজায়। সবাই ব্যালকনি দিয়ে সবার দিকে তাকিয়ে সংহতি প্রকাশ করে। বয়ষ্কদেরসহ খাবার কিনতে অপারগদের রাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনী ব্যালকনি দিয়ে বা দরজার সামনে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে। এভাবে এক মাস চলে গেছে। দেশটিতে আরও এক সপ্তাহ থেকে দুই সপ্তাহ এই নিষধাজ্ঞা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই এক মাসে অনেক হিসেব পাল্টে দিয়েছে এই মহামারি।
১ লক্ষ ৬০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে দেশটিতে। প্রায় ১৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে সুস্থ হওয়া মানুষের সংখ্যাও কম নয়। প্রায় ৬০ হাজার মানুষের মুক্তি মিলেছে এ ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে।
Advertisement
স্পেন পৃথিবীর বড় দেশগুলোর একটি এবং দেশটি এই মহামারিকে কাটিয়ে ওঠে ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি রাখে এই সাহস নিয়ে দেশবাসী ব্যালকনি দিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুণছে।
এমএফ/এমএস