যুক্তরাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে আরও ৬৯৭ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে দেশটিতে করোনায় প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৩০৯ জনে।
Advertisement
একদিন আগে অর্থাৎ রোববার দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। বিশ্বে যুক্তরাজ্য ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, ইতালি এবং ফ্রান্সে করোনার মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে।
ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস ইংল্যান্ড বলছে, ইংল্যান্ডে করোনায় মৃতদের বয়স ১৭ থেকে ১০১ বছর। তবে একদিনের ব্যবধানে দেশটিতে মৃত্যু সামান্য কমেছে। স্কটিশ ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজিওন বলেন, করোনাভাইরাস লকডাউন কাজ করছে বলে আশাবাদী হওয়ার মতো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। কিন্তু বিধি-নিষেধ অব্যাহত থাকবে।
ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে করোনার ভয়াবহ প্রকোপ শুরু হয়েছে। স্পেন, ইতালির পর এখন সর্বোচ্চ মৃত্যু যুক্তরাজ্যে। দেশটির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, আগামী দিনগুলোতে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যায় ইউরোপের সব দেশকে ছাড়িয়ে যেতে পারে ব্রিটেন।
Advertisement
এদিকে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক সপ্তাহ হাসপাতালে কাটানোর পর রোববার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বাসভবনে ফিরেছেন। সোমবারও তার শরীর পরীক্ষা করা হয়েছে। চিকিৎসকরা সর্বশেষ এই পরীক্ষায় তার শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন।
করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় দেশটির সরকারি ব্যবস্থাপনা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। পর্যাপ্ত করোনা পরীক্ষা কিটের অভাব, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রীর ঘাটতি নিয়ে তোপের মুখে পড়েছে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সরকার।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র বলেছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে ১৮ হাজার মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। চলতি মাসের শেষের দিকে দিনে এক লাখ মানুষের করোনা পরীক্ষার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সূত্র : রয়টার্স, ডেইলি মেইল।
Advertisement
এসআইএস/জেআইএম