সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রসূতি নারীর সংস্পর্শে আসা ১৯ জন চিকিৎসকসহ মোট ৪৪ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ১৯ জন চিকিৎসক, ১৪ জন নার্স ও হাসপাতালের ১১ জন স্টাফ রয়েছেন।
Advertisement
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন সুনামগঞ্জের ওই নারীর সিজারে সন্তান প্রসবের পর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর ওই নারীর অস্ত্রোপচারসহ চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত ৪৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার নির্দেশ দেন ওসমানী হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. ইউনুছুর রহমান। হোম কোয়ারেন্টাইনে যাওয়া সবাই ওসমানী হাসপাতালের গাইনি বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন।
সোমবার বিকেলে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, কোয়ারেন্টাইনে যাওয়া চিকিৎসকসহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা এখন পর্যন্ত সুস্থ আছেন। তবে তাদেরও করানো পরীক্ষা করা হবে। তারা সবাই চিকিৎসার প্রয়োজনে আক্রান্ত নারীর সংস্পর্শে গিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ১৯ চিকিৎসকসহ ৪৪ জনকে কোয়ারেন্টাইনের রাখা হলেও হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডের সেবায় তেমন প্রভাব পড়বে না। এই ওয়ার্ডে বিশেষ ব্যবস্থায় সেবা অব্যাহত থাকবে। এছাড়া ওয়ার্ডকে স্প্রের মাধ্যমে ভাইরাসমুক্ত করা হয়েছে।
Advertisement
আক্রান্ত নারীকে প্রথম থেকে ওসমানী হাসপাতালে আলাদা করে রাখা হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, এতে করে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্য নারীদের আক্রান্ত হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।
প্রসঙ্গত, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের বাসিন্দা ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে শুক্রবারের আগে তিনি সন্তান প্রসব করেন। এরপর শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে গতকাল রোববার (১২ এপ্রিল) ওসমানী মেডিকেল কলেজে তার করোনা পরীক্ষা করা হয়।
সোমবার তার রিপোর্টে করোনাভাইরাস পজেটিভ আসে। এর পরই তাকে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন অহমদ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। আক্রান্ত নারীর স্বামী কিছুদিন আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে বাড়ি ফিরেছেন।
আক্রান্ত নারীর পরিবারের সদস্যদেরও হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন। এছাড়া তাদের করোনা পরীক্ষা করা হবে বলে জানা গেছে।
Advertisement
ছামির মাহমুদ/এএম/জেআইএম