করোনাভাইরাসের ভয়াল থাবায় যে ক’টি দেশ সবচেয়ে বেশি জর্জরিত, তার মধ্যে ব্রিটেন অন্যতম। সেখানকার অবস্থা এতোই নাজুক যে, হাসপাতাল থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য জিপার্ড বডি ব্যাগও মিলছে না। সেজন্য বিছানার চাদর ব্যবহার করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অনেক স্বাস্থ্যকর্মী। বডি ব্যাগ সংকটের কথা অস্বীকার করছে না সরকারি প্রতিষ্ঠানও।
Advertisement
ওয়েস্ট লন্ডনের ওয়েস্ট মিডলসেক্স ইউনিভার্সিটি হসপিটালের নার্স স্যালি গুডরাইট সম্প্রতি এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘লাশের সারি বড় হচ্ছে আর আমরা বডি ব্যাগ সংকটে পড়েছি।’ তিনি বলেন, যেহেতু মরদেহগুলোতে ভাইরাসের সংক্রমণ থেকেই যায়, সেহেতু সেগুলো ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রীর (পিপিই) মতো করে বানানো বডি ব্যাগে নেয়া দরকার।
ওয়াটফোর্ড জেনারেল হসপিটালের আরেক কর্মী বলেন, (সৎকারসহ অন্যান্য প্রক্রিয়ার জন্য) মরদেহ মুড়িয়ে নিতে বিছানার চাদর ব্যবহার করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে শ্রমিক সংগঠন জিএমবি ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিছানার চাদরে মুড়িয়ে মরদেহ বহনের জন্য বাধ্য করা হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের।
Advertisement
অবশ্য পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড এ বিষয়ে বলছে, বডি ব্যাগ ‘বাস্তবিক কারণে’ ব্যবহার করা হয়। কোভিড-১৯ রোগী মারা গেলে যেহেতু তার শরীরে কোনো জীবাণু বেঁচে থাকতে পারে না, সেহেতু সেই মরদেহ বহনে বডি ব্যাগ বহনের কোনো কারণ নেই।
বডি ব্যাগ সংকটের কথা উঠে এসেছে ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থাকে (এনএইচএস) সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বারবার মেডিকেলের বক্তব্যেও। তারা সংবাদমাধ্যমকে বলেছে, জিপার্ড বডি ব্যাগ উৎপাদনে তাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে, তবে পাতলা পলিথিনে হলেও বেশি বেশি বডি ব্যাগ বানানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কারখানায় তাগিদ দেয়া হয়েছে।
কাঁচামালের সরবরাহ না থাকায় বডি ব্যাগ উৎপাদনে অক্ষমতার কথা জানিয়েছে এনএইচএসকে সরবরাহকারী আরেক প্রতিষ্ঠানও।
মহামারি করোনাভাইরাসে দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮৪ হাজারের বেশি মানুষ। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন সাড়ে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ।
Advertisement
আর মহামারি করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ১৮ লাখ ৬৪ হাজার। এর মধ্যে মারা গেছেন ১ লাখ ১৬ হাজার মানুষ।
এইচএ/এমএস