দেশজুড়ে

দূর্গাপূজায় ৫ দিনের ছুটির কবলে বেনাপোল

বাংলাদেশ এবং ভারতের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পাঁচদিন ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সঙ্গে দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ থাকবে। পূজার লম্বা ছুটির কারণে অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠানে কাঁচামালের সঙ্কট দেখা দিতে পারে। তবে এ ছুটিতে বেনাপোল কাস্টম হাউজ ও বন্দরে এবং বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে পাসপোর্টযাত্রী চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। ভারতের পেট্রাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী জানান, আসন্ন দূর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ২০ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত পাঁচদিন ছুটি থাকায় এসময় পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে সব ধরনের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ থাকছে। ২৫ অক্টোবর রোববার সকাল থেকে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য স্বাভাবিক হবে।বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা জাগো নিউজকে বলেন, এ পথে পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে টানা পাঁচদিন আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ থাকালেও পূজা উপলক্ষে ২২ অক্টোবর সরকারি ছুটি এবং ২৩ ও ২৪ অক্টোবর সাপ্তাহিক ছুটির দিন কাস্টম ও বন্দর বন্ধ থাকবে। ছুটির এসময় ছাড়া অন্যান্য সময় কাস্টম ও বন্দরে আমদানি পণ্য ছাড় করানোর কাজ হবে বলে জানান তিনি।বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমিনুল হক জাগো নিউজকে জানান, শারদীয় দূর্গোৎসব ছুটিতে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকলেও স্বাভাবিক থাকবে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত।প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৩শ থেকে সাড়ে ৩শ পণ্য বোঝাই ট্রাক আসে ভারত থেকে। এছাড়াও শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাঁচা মালামালের পাশাপাশি বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য আসে এই বন্দর দিয়ে। একটানা পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর ২৫ অক্টোবর সকাল থেকে আমদানি-রফতানি চালু হলে সৃষ্টি হবে পণ্য জটের। দেশের অর্থনীতিতে বেনাপোল বন্দরের ভূমিকা অপরিসীম। ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ৯০ ভাগই আসে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। মাত্র সাত দিনের এলসিতে পণ্য আনা যায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে। বেনাপোল চেকপোস্ট থেকে কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮১ কিলোমিটার। আড়াই ঘণ্টায় আসা যায় চেকপোস্টে। সে কারণে আমদানিকারকরা পণ্য আমদানির জন্য বেনাপোল বন্দর ব্যবহার করে থাকেন। বন্দর বন্ধ থাকায় আমদানি-রফতানিতে প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা।মো. জামাল হোসেন/এমজেড/পিআর

Advertisement