বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতে। কাজ হারিয়ে কিংবা কাজের সুযোগ না থাকায় লাখ লাখ মানুষ এখন ঘরে।
Advertisement
অন্যদিকে কাজের জায়গায় বন্ধ থাকায় অনেকে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন, যদি চাকরিটা আর না থাকে। ভবিষ্যতের চিন্তায় অনেকেই ভীত। যদিও কিছু প্রতিষ্ঠান, তাদের কর্মীদের উজ্জীবিত রাখার উপায় খুঁজছে।
কিছু প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই মনস্তত্ত্ববিদদের সাহায্য নেওয়া হয়েছে। কর্মীদের সঙ্গে ভিডিওকনফারেন্স করা হচ্ছে। কোনও কোনও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ভবিষ্যত সম্পর্কে আশার আলো দেখানো হচ্ছে। অনলাইনে নিজেদের কর্মীদের উত্সাহ দিচ্ছে অনেক প্রতিষ্ঠান।
বর্তমান পরিস্থিতিতে কর্মীদের ওপর মানসিক চ্যালেঞ্জ কয়েকগুণ বেড়েছে। এমনটাই মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। আপাতভাবে লকডাউন শেষ হওয়ার মতো পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে না।
Advertisement
স্বাস্থ্য পরিষেবা, ফুড সার্ভিস কিংবা ক্রিটিক্যাল ম্যানুফ্যাকটারিং অপারেশনের ক্ষেত্রে চাপের অন্য মাত্রা রয়েছে। আবার যাঁরা ঘর থেকে কাজ করছেন, তাঁদেরও চাপ অন্য ধরনের।
যেসব পরিষেবা চালু রয়েছে, সেখানে যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের মানসিক চাপটা আবার অন্য জায়গায়। অনেকেরই আশঙ্কা সহকর্মীদের থেকে কিংবা অন্যদের থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা করছেন তাঁরা। ফলে নিজের কাজের জায়গাতেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন অনেকে।
ঘরে থাকায় সাধারণ মানুষের খরচের একটা অংশ কমেছে। ঘরে থেকে অনেকেই শুধুমাত্র জরুরি জিনিসই কিনছেন। অপ্রয়োজনীয় জিনিস বর্জন করছেন।
সামগ্রিক দিক বিবেচনা করে চাকরি অনেকটাই উৎকণ্ঠায় সময় কাটাচ্ছেন চাকরিজীবীরা। ছুটির পর চাকরিটা থাকবে তো!
Advertisement
এএ