জাতীয়

চট্টগ্রামে করোনার আওতায় ‌‘পুলিশ-নারী-শিশু-যুবক-বৃদ্ধ’

 

চট্টগ্রামে প্রতিদিনই করোনাভাইরাসের সামাজিক সংক্রমণের মাত্রা ও পরিধি বাড়ছে। বাদ যাচ্ছে না শহর-গ্রাম। বাকি নেই নারী-শিশু-যুবক-বৃদ্ধ কেউই। এখন আর বিদেশ প্রত্যাগতরা নয়, করোনা বহন করছেন চারপাশের মানুষজনই। আক্রান্ত হচ্ছে সমাজের ভিন্ন ভিন্ন বয়সের, ভিন্ন ভিন্ন পেশার লোকজন। গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে পাঁচজনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে একজন নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সদস্যও রয়েছেন।

Advertisement

রোববার (১২ এপ্রিল) ফৌজদারহাটে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) ৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রামের পাঁচজনসহ ছয়জনকে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়া আগে আক্রান্ত এক ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষায় আবারও সংক্রমণ পাওয়া গেছে।

বিআইটিআইডি সূত্র জানায়, এ নিয়ে তাদের ১৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে, যার মধ্যে একজন মৃত। এছাড়া দুইজনের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলায়।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির জাগো নিউজকে বলেন, ‌‌‘নতুন যে ছয়জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে লক্ষ্মীপুরের একজন ছাড়া বাকি পাঁচজনের একজন চট্টগ্রাম নগরে দামপাড়া এলাকার, একজন সীতাকুণ্ড উপজেলার ফৌজদারহাট এলাকার, দুইজন সাতকানিয়ার ও একজন পটিয়ার। আক্রান্তদের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্য, একজন প্রতিবন্ধী শিশু, দুই যুবক ও এক বৃদ্ধ রয়েছেন।’

Advertisement

করোনায় আক্রান্ত পুলিশ সদস্য-

নগর পুলিশ গোয়েন্দা শাখার উপ-কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল ওয়ারিশ জাগো নিউজকে জানান, নগরের দামপাড়া পুলিশ লাইনের এক পুলিশ সদস্য (৪৫) করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত কনস্টেবল পদবীর একজন কর্মকর্তা। গত কয়েকদিন ধরে অসুস্থবোধ করায় মেট্রোপলিটন পুলিশের তত্ত্বাবধানে আইসোলেশনে থাকা পুলিশের এই কনস্টেবল আজকের নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ এসেছে।

এদিকে পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে ৬ বছর বয়সী এক প্রতিবন্ধী শিশু করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।

সীতাকুণ্ড উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায় জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, উপজেলার ফৌজদারহাট এলাকার বাবুল মেম্বারের পুরাতন বাড়ি এলাকায় ৫৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তার বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।

Advertisement

সাতকানিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নুরে আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‌‘সাতকানিয়া পৌর সদরের ১ নম্বর ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দুই যুবক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের একজন শিক্ষার্থী, অপরজন ব্যবসায়ী। তাদের বাড়ি লকডাউনের কাজ চলছে। এছাড়া বৃহস্পতিবার করোনা রোগী মৃত্যুর ঘটনায় উপজেলার পশ্চিম ঢেমশা এলাকার আলী নগরের ইছামতি গ্রামের ৩৯০ পরিবারের ৩ হাজার ৭১২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।’

এর আগে, নয়জন করোনা রোগী শনাক্ত হলে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার একটি গ্রাম, জেলার ২৪টি বাড়ি ও একটি ব্যাংক লকডাউন করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মানুষ।

আবু আজাদ/এফআর