রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণের প্রভাতি আয়োজন শুরু ১৯৬৭ সাল থেকে। এরপর ১৯৭১ সাল ছাড়া প্রতি বছরই অনুষ্ঠিত হয়েছে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। পহেলা বৈশাখের ছায়ানটের আয়োজনটিকে ঘিরে পুরো ঢাকা শহরের মানুষ একত্রিত হয় রমনায়।
Advertisement
২০০১ সালে ভয়ংকর সিরিজ বোমা হামলার পরের বছরও যে আয়োজন বন্ধ হয়নি। কিন্তু এবার করোনাভাইরাসের মোকাবিলা করতে বড় পরিসরে হচ্ছে না ছায়ানটের বর্ষবরণের আয়োজন। ‘উৎসব নয়, সময় এখন দুর্যোগ প্রতিরোধের’ এমন ট্যাগ লাইন দিয়ে ডিজিটাল উপস্থাপনার মাধ্যমে ছোট্ট আকারে বর্ষবরণের আয়োজন করেছে সংগঠনটি। এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছায়ানটের সভাপতি সনজীদা খাতুন।
বিবৃতিতে সনজীদা খাতুন বলেন, ‘পাকিস্তান আমলের বৈরী পরিবেশে বাঙালির আপন সত্ত্বার স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা আর মানব কল্যাণের ব্রত নিয়ে ১৯৬১ সালে ছায়ানটের জন্ম। এই সংগঠন আজন্মই সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ। তাই সীমিত আকারে পয়লা বৈশাখের সকালে বাংলা বর্ষবরণ আয়োজন করতে যাচ্ছে ছায়ানট।’
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বিটিভির সহায়তায় পয়লা বৈশাখের (১৪ এপ্রিল) সকাল ৭টা থেকে ১ ঘণ্টার একটি অনুষ্ঠান প্রচার করা হবে। বরাবরের মতো সেখানে সনজীদা খাতুনের বক্তব্য থাকবে। এছাড়াও ছায়ানটের পূর্বের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের বেশ কিছু সংকলিত অংশ ও গান যুক্ত করা হবে।
Advertisement
আরো জানানো হয়, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হবে। রাষ্ট্রীয় এ চ্যানেলের কাছ থেকে সব বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল অনুষ্ঠানের ফ্রেশ ফিড পাবে। তাছাড়া ছায়ানটের ইউটিউব ও বিটিভির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করা হবে।
এমএবি/এমএস